রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। দুটি ইউনিয়নের সীমানা জটিলতা নিয়ে মামলার কারণে দীর্ঘ ১২ বছর ৮ মাস বন্ধ ছিল এই পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি সর্বশেষ এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এদিকে নির্বাচনকে সফল করতে প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আনসার বাহিনীর সদস্যদের। প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমজাদ হোসেন এবং বি়এনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র এ জেড এম মেনহাজুল হক নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন। পার্বতীপুর পৌরসভার মোট ভোটার রয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৯৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৬ হাজার ৯২৬ ও পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৪৭০ জন।
পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রে ১০৮টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ‘সর্বশেষ ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি পার্বতীপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার আয়তন বৃদ্ধির কারণে রামপুর ও পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গে সীমানা জটিলতায় একটি পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। এ কারণে এত দিন পার্বতীপুর পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
দিনাজপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা কর্মরত থাকবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য মাঠে রয়েছেন প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্য।’