হোম > সারা দেশ > দিনাজপুর

ফুলবাড়ীতে তিন মাস ধরে খোঁড়া রাস্তায় জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 

ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে এখন ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের ফরিদপুর সড়কে তিন মাস আগে পাকাকরণের কাজ শুরুর নামে রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ওই খোঁড়া রাস্তায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।

কাজ শুরু হয় এপ্রিলের শুরুতে। রাস্তা খুঁড়ে কিছু অংশে বালু ফেলা হলেও এর পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে রাজখণ্ডা, ফরিদপুর, জুঝারপুর, পাকাপান, শালগ্রাম, পার্বতীপুর, বড়গাছা, লালদীঘি বাজারসহ আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে খোঁড়া রাস্তায় কাদা জমে গেছে। এতে ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ কোনো যানবাহন ঠিকভাবে চলতে পারছে না। ছাত্রছাত্রী, কৃষক ও কর্মজীবীদের চলাফেরায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ফরিদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, দুলাল, নুরুল ইসলাম ও আঞ্জুআরা বলেন, ‘তিন মাস ধরে রাস্তা খুঁড়ে রেখেছে ঠিকাদার। সামান্য কিছু বালু ফেলে উধাও হয়ে গেছে। এখন প্রতি বস্তা ধান পাকা রাস্তা পর্যন্ত নিতে খরচ হচ্ছে ১০০ টাকা। রিকশা-ভ্যানচালকেরাও দুর্ভোগে।’

স্থানীয় কৃষক মাজেদুল ইসলাম, আনোয়ার মণ্ডল ও মঞ্জুরুল বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে। কৃষিপণ্য বাজারে নিতে লেবার খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে এখন ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এলুয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা নবীউল ইসলাম ও ইউপি সদস্য ফয়জার রহমান বলেন, ‘খোঁড়া রাস্তার কারণে মানুষের সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকেও জানিয়েছি। ঠিকাদার বলছেন, বালু না পাওয়ায় কাজ করতে পারছেন না।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আমি কাজটি বাচ্চু নামে একজনকে দিয়েছি। তাকে বলেছি দ্রুত কাজ শুরু করতে। বিস্তারিত জানার জন্য তার ভাই সাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

যোগাযোগ করা হলে সাজু বলেন, ‘বালু না পাওয়ার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। মাটির রাস্তা পাকা (পিচ ঢালাই) করতে হলে একটু সময় দিতে হয়। তবে এখন বালু ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। বাকিটা দ্রুতই শেষ করব।’

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টেন্ডার মার্চে হলেও কাজ শুরু হয় এপ্রিলের শেষ দিকে। ঠিকাদার বালু না পাওয়ায় ধীর গতিতে কাজ করেছে। তাকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

দিনাজপুরের মেয়ে পুতুলের স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় শোকের ছায়া

একসময়ের জ্ঞানের বাতিঘর আজ নিকষ কালো অন্ধকার

দিনাজপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

সেতুর দাবি: চাষির ফসলের ন্যায্যমূল্য আটকা ইছামতীতে

জৌলুশ হারিয়ে ক্রেতাশূন্য মন্ত্রী মার্কেট, দোকান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

হাদির ওপর হামলা: জড়িতদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ফুলবাড়ী সীমান্তে নজরদারি জোরদার

হাদিকে গুলি: জড়িতদের দেশত্যাগ ঠেকাতে হিলি সীমান্তে সতর্কতা জারি

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

দিনাজপুরে তিন অবৈধ ইটভাটায় অভিযান