কুমিল্লার তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পরও চালু হয়নি এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় হাসপাতালের একটি তালাবদ্ধ রুমে পড়ে আছে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের এই এক্স-রে মেশিনটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে এক্স-রে সেবা চালু না হওয়ায় প্রতিদিন শত শত রোগী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে অধিক মূল্যে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাঁদের এক্স-রে করিয়ে নিতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখনই এই এক্স-রে মেশিনটি হাসপাতালের একটি কক্ষে স্থাপন করা হলেও এক দিনের জন্যও চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। বর্তমানে হাসপাতালটি ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিদিনই আউট ডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে দুইতিন শত রোগী।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন না থাকায় বাইরে থেকে এক্স-রে করে আনতে হয় তাঁদের। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু হাসপাতালে থাকলে ৫০–৬০ টাকা পড়ত বলে জানান তাঁরা।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান জানান, জনবল সংকটের কারণে এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না। একাধিকবার চাহিদা করা কথা জানিয়েছি। কিন্তু নিয়োগ বন্ধ থাকায় তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে অপারেটর এখানে নেই বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে। নিয়োগ হলেই তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি চালু করা সম্ভব হবে।