কুমিল্লার হোমনায় ডেঙ্গু ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ৫০ শয্যার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। বেডের সংকুলান না হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগীদের ভিড় দেখা যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গরম কমতে শুরু করায় ঠান্ডা-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, জ্বর, চর্মরোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে হাসপাতালে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। এর বাইরেও অনেকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত সর্দি-কাশিতে যত্নবান না হলে জটিলতা বাড়তে পারে এবং শীতের সময় ধুলাবালু ও বাতাসের শুষ্কতা কমে যায়। এ কারণে শিশুদের চর্মরোগের পাশাপাশি চুলকানি বেশি হয়। শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও ধুলাবালু থেকে দূরে রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগীদের অস্বাভাবিক চাপে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সংকট দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাহানারা বেগম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসন রয়েছে মাত্র ৫০টি, কিন্তু এখন পর্যন্ত রোগী আছে ৭০ জন। এর মধ্যে ২০ জনকে ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে এবং কিছু বেডশিটে রাখতে হয়েছে। দিন দিন রোগী ভর্তির চাপ বাড়ছে। অতিরিক্ত কিছু বেডশিটের ব্যবস্থা করা হলে রোগীদের উপকার হতো।