ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস বসন্তকাল। তবে ফাল্গুন যেমন বসন্তের আদর পায়, তেমনটা পায় না চৈত্র মাস। কিন্তু এবার সিরাজগঞ্জের চিত্রটি আলাদা। পলাশ, কাঞ্চন, শিমুলের ফুল ও তাদের ঘিরে পাখি ও প্রজাপতির ওড়াউড়ি মনে করিয়ে দিচ্ছে বসন্ত বিগত নয়। ফুলের সাথে পাখি ও মৌমাছিদের এই মিতালী যে কারও চোখেই মুগ্ধতা আনে।
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে গড়ে ওঠা ইকোপার্কে ও সলপ রেললাইনের পাশের রাস্তায় দেখা মিলবে ফুটে থাকা হাজারো শিমুল–পলাশ। আর আছে কাঞ্চন। বর্ণিল এই রূপ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে টানছে।
ইকোপার্কে পাতাবিহীন প্রতিটি গাছ ছেয়ে আছে মনোমুগ্ধকর বাহারি কাঞ্চন ফুলে। মাঝে মাঝে একটু বাতাসে ঝরে পড়ছে ফুলেরা। ঘুরতে আসা অনেককেই দেখা গেল ফুল কুড়াতে।আর পরিবার–বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের ছবি তোলার কথা তো না বললেও চলে।
ফুলে ফুলে শোভিত প্রতিটি শিমুল গাছ এখন ছেয়ে আছে অপার্থিব সৌন্দর্যে। ফাগুনের এই আগুন লাগা এক একটি শিমুল গাছ যেন প্রকৃতির আপন আভায় সেজে উঠেছে। পিচঢালা এই পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোনো পথচারী কিংবা ট্রেনের জানালার ধারে বসে থাকা কোনো যাত্রীর চোখে এ দৃশ্য মুগ্ধতা আনে।
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে আসা জয়ী সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকৃতির এই সৌন্দর্য না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না ।একেক ফুলের রয়েছে একেক সৌন্দর্য। পাখির কলকাকলি ও মৌমাছিদের আনাগোনা এই সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু ইকোপার্কের তত্ত্বাবধায়ক রিপন আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু ইকোপার্কে এসেই প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যকে উপভোগ করার সুযোগ হয়েছে। এখানে প্রায় আড়াই হাজার পলাশ ও কাঞ্চন গাছ রয়েছে। ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে প্রতিটি গাছ। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও মনমুগ্ধকর পরিবেশ রয়েছে এই ইকোপার্কে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে বসন্তকালে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।