নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদ এলাকার আল ইসলামের ছেলে। শহিদুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সাকিবুল হাসান ‘রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থা’র সদস্য হন। এ নিয়ে সাকিবুল হাসান তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে মাহিম নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
এর জেরে গতকাল রাত ১১টার দিকে সাকিবুল হাসান ও মাহিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজন বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে এখনো মামলা হয়নি।’