ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১১২ জন। যা একদিনে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এসময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭১ জন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনিয়ে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জন, আর মৃত্যু ১০ হাজার ৪৯৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।
এ সময় ২৪ হাজার ২১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ১৫২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭১ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ১০, বরিশালে ১, সিলেটে ৩, রংপুরে ২ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ আরো ঊর্ধ্বমুখী।