ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়াল। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭ জন, আর মৃত্যু ১২ হাজার ৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪ কোভিড রোগী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন কোভিড রোগী সেরে উঠেছেন।
এছাড়া আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে ৪৫৪টি সক্রিয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৩২ টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৪৮টি। এর মধ্যে করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে ১ হাজার ১৮৪টি। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৮৭। আর শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয় গত ৮ মার্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় ১৮ মার্চ।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। তবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে হার বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
সংক্রমণ শনাক্ত ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল। পরদিন ৬ হাজার ৮৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ করোনায় মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনে সর্বোচ্চ।
আগস্টের পর মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতে বাড়তে থাকে রোগী শনাক্তের হার ও মৃতের সংখ্যা। সবশেষ ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কমলেও এখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।