ঢাকা: দেশে ১০ শতাংশ মানুষ এখনও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তবে আশেপাশের দেশ এমনকি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পুষ্টিপরিস্থিতি ভালো। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে চাই। দারিদ্র্য কমলে পুষ্টিহীনতা কমবে। নারীর ক্ষমতায়ন হলে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে শিশুর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। পুষ্টির অভাবে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ হতে পারে।
বেশি বেশি সুষম খাবার খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুষ্টি সপ্তাহে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খান। এ বার্তা আমরা মানুষকে দিতে চাই।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। তবে মহামারির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, জনগণের খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে এবার পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে– খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন। সুস্থ, সবল ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আগামী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল সারাদেশে পালিত হবে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৯।
কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আগের চেয়ে মারাত্মক উল্লেখ করে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দ্বিতীয় ঢেউ কেন এল এখনই এর কারণ চিহ্নিত করতে হবে। আমরা করোনার বিস্তার রোধে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি। জনসমাগম নিরুৎসাহে সব ধরনের সভা-সমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। করোনার উৎপত্তি স্থানগুলো– পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, সব ধরনের মেলা, পিকনিক বন্ধ রয়েছে। এভাবে কিছুদিন চললে আশা করা যায় সংক্রমণের হার কমে আসবে।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।