কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। উজানের ঢল ও টানা বর্ষণ হওয়ায় পানিতে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ওঠায় উপজেলায় অন্তত ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে চিলমারীতে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। এর মধ্যে উপজেলার রমনা ইউনিয়ন, অষ্টমীর চর, নয়ারহাট, রাণীগঞ্জ ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনা খাবার, সুপেয় পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শিগগিরই দুর্গত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।