ফরিদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস ছিল না। বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি জেলার ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কোর্টপাড় এলাকার আবুল হাশেম চোকদারের ছেলে। দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের বাখুন্ডা এলাকার শরীফ জুট মিলের সামনে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন। এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফারাবি এন্টারপ্রাইজ নামের লোকাল বাসটি বাখুন্ডা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপর সেটি সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনার পর খবর পেয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশের সদস্যরা।
ফরিদপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবি পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। প্রতিবছর বাসের ফিটনেস পরীক্ষা করে সনদ নিতে হয়। সনদ শেষ হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন আগে ফিটনেস নবায়নের জন্য আবেদন করার নিয়ম। এ ছাড়া বাসটির ট্যাক্স-টোকেনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০২৪ সালের ২৬ জুন।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়েছেন। তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি। ফলে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে কি না কিংবা কী অবস্থায় রয়েছে, তা জনা সম্ভব হয়নি। চালকের নাম ও জন্মতারিখ সংগ্রহ করা গেলে এ তথ্য বের করা যাবে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) খুরশীদ আলম বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনায় আমরা ব্যথিত। অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। ভবিষ্যতে এসব বাস যাতে সড়কে চলতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’