প্রধান শিক্ষক শায়েস্তা খাতুনের চাকরিজীবনের শেষ কর্মদিবস। তাঁকে বিদায় জানাতে এসেছেন অন্য শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ। আবেগঘন পরিবেশে ৩৬ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানলেন শায়েস্তা খাতুন।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল এ আয়োজন। শায়েস্তা খাতুনকে সম্মাননা স্মারক, উপহার সামগ্রী ও ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানান গ্রামবাসী। বিদায়বেলা সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন প্রধান শিক্ষক শায়েস্তা খাতুন।
অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি স্কুলটি থেকে কোনো বিদায় নিতে চাই না। তবে আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসী আমাকে যেই সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’ বিদায়ী শিক্ষক অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলটিতে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়।