পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ুমিছিল হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ মে) বেলা ৩টার দিকে বাউফল পাবলিক মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও জনতার অংশগ্রহণে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বাউফল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আয়শাতুন্নেছা বর্ষা, শুভচন্দ্র শীল, কালাইয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শাহানাজ আক্তার, রিকশাচালক মমিন প্রমুখ।
রিকশাচালক মমিন অভিযোগ করেন, ‘উপজেলা চত্বরের মূল ফটকের পাশে রিকশা রাখায় ইউএনও স্যার আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন এবং আনসার সদস্যদের দিয়ে ধরে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমের অনুরোধে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
গত সোমবার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইউএনও আমিনুল ইসলামকে আমন্ত্রণ না জানানোকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী এমরান হাসান সোহেলের সঙ্গে ইউএনওর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এমরান হাসান বলেন, ‘অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইউএনওর দপ্তরে গিয়েছিলাম, ফোনও করেছিলাম, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। পরে অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘‘ভাই’’ বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে স্যার বলবেন। আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা, চাইলে মালিককেও শাস্তি দিতে পারি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কারও ফোন ধরতে বাধ্য নই, বাংলো একটি অফিস।’’
এ ঘটনায় বাউফলবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইউএনওর অপসারণসহ প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করেছেন।