গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকার থেকে দেওয়া ওষুধ মজুত থাকার পরেও ব্যবস্থাপত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওষুধের নাম লিখে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযানে যান দুদক কর্মকর্তারা।
গাজীপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
প্রথমেই হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থার খোঁজ নিতে দুদকের তদন্তকারী দল দ্বিতীয় তলায় ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোগীরা অভিযোগ করেন, সরকারি ওষুধ রোগীদের দেওয়া হয় না, যার কারণে তাঁদের বেশির ভাগ ওষুধ বাইরে ফার্মেসি থেকে কিনতে হয়। সরকারি হাসপাতালে এসেও তাঁদের অনেক খরচ হয় চিকিৎসাসেবা নিতে। অভিযোগের ভিত্তিতে রোগীদের মুখোমুখি করা হয় চিকিৎসকদের। পরে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের রান্নাঘর পরিদর্শনে গিয়েও বেশ কিছু অনিয়মের চিত্র দেখতে পান।
অভিযান শেষে গাজীপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তদন্তে আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তদন্তে বেশ কিছু অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে এখন ওষুধের ঘাটতি রয়েছে, যার কারণে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। এই শীত মৌসুমে প্রচুর রোগী আসে চিকিৎসাসেবা নিতে। হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। তারপরও সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।