ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য পদে ভোট করছেন আকরাম হোসেন (৩০)। কিন্তু তিনি নিজের জয়ের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন না। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আমিন বেপারীর (৫০) মোরগ প্রতীক নিয়ে তিনি যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। করছেন মিছিল, মিটিং ও উঠান বৈঠক। প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী করতে যা যা করা দরকার সবই করছেন তিনি উৎসাহের সঙ্গে।
ব্যতিক্রমধর্মী এ ঘটনাটি ঘটছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আকরাম হোসেন ওই ইউনিয়নের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা। একই বাড়ির অপর বাসিন্দা আমিন উদ্দিন বেপারী। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ ছিলেন। দু’জনই শুরু করেন নিজের বলয়ে লোকসংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রচারণার শুরু থেকে আমিন বেপারী পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার ও মাইকিং করলেও প্রতীক নিয়ে নীরব থাকেন আকরাম। কিন্তু সাত/আট আগে হঠাৎ করে আমিন বেপারীর প্রচারণায় যুক্ত হয়ে যান তিনি। প্রায়ই তাঁরা দু’জন যৌথভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১ হাজার ৫৫। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫২২ জন ও পুরুষ ভোটার ৫৩৩ জন। মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন।
ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আপেল প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন জমাদার বলেন, এ ধরনের প্রচারণা জীবনে এই প্রথম দেখলাম। আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে তাঁরা একজন থেমে গিয়ে যৌথভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অপরপ্রার্থী তোফায়েল আহাম্মদও (টিউবওয়েল) এতে বিস্মিত।
তবে মোরগ প্রতীকের আমিন উল্যা বেপারী বলেন, আমার সঙ্গে আকরামের কোনো সমঝোতা হয়নি। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে প্রার্থী করানো হয়েছে। টাকা না থাকায় এখন তিনি পোস্টার, মাইকিং ও প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। একদিন হঠাৎ করে আমার গণসংযোগে যোগ দেওয়ায় এ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আকরাম একা একাই তাঁর নিজের প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। নির্বাচনী বিধিবিধানে যৌথভাবে বা কয়েকজন প্রার্থী মিলে একজনের পক্ষে এ ধরনের প্রচারণা শাস্তিযোগ্য কোনো বিষয় নয়।’