হোম > সারা দেশ > খুলনা

কুয়েট শিক্ষকেরা ক্লাসে ফেরেননি, ৭ দিনের আলটিমেটাম

খুলনা প্রতিনিধি

পাঁচ দফা দাবিতে আজ সোমবার কুয়েট শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকেরা আগামী সাত কার্যদিবস সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দেন। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা জানান।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল রোববার থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকেরা।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা হয়েছে। সভায় পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাবি বাস্তবায়িত না হলে শিক্ষকেরা সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন।’

এদিকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক হযরত আলী। কুয়েট মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সভা চলে।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে কুয়েটে অচলাবস্থার সৃষ্টি। এরপর শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে—আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। সাত দিনের মধ্যে এই দাবি আদায় না হলে শিক্ষকেরা একাডেমিক ও সব প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে সাইবার বুলিং, অবমাননা ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে দাবি করা পাঁচ দফা দাবির যেগুলোর সঙ্গে শিক্ষকেরা শুরু থেকে একমত ছিলেন, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েটবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত সব পেজ ও ব্যক্তিকে শনাক্ত করে অবিলম্বে সেগুলো বন্ধসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া।

সভায় গত ২৫ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে অভিযোগ তুলে ওই ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। ‘পক্ষপাতমূলক আচরণে’ শিক্ষকেরা উপেক্ষিত হয়েছেন বলে তাঁরা মর্মাহত হয়েছেন।

সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ফারুক হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়াসহ শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ফেনী পৌরসভা: সরকারি জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ, মালামাল চুরি

জয়পুরহাটের ২টি আসন: জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার: বিএনপিএস

যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ: কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি কর্মকর্তার

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের হার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি, অর্ধেকই পথচারী