কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় তাঁদের কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মুমিনুল হকের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পর্নোগ্রাফি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আদালতে রিমান্ড আবেদন করলেও বিচারক পরে শুনানির দিন ধার্য করেন এবং আসামিদের জেলহাজতে পাঠান।
এদিকে মুরাদনগরের একটি গ্রামে দরজা ভেঙে গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি আজ সকালে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।
এরপর আজ ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি অসুস্থ থাকায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি ধর্ষণ মামলা আসামি। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই মুরাদনগর উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে এবং এরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।