ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও বিজেপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ম. তায়েবুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি কার্যালয়ের সামনে দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর গরুর গাড়ি প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে একটি সভার আয়োজন করা হয়।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাজনপট্টি এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সভা শেষে মিছিল করেন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। মিছিলটি শহরের বাংলা স্কুল মোড় হয়ে নতুন বাজার এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে এলে কে বা কারা মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শুরু হয় বিএনপি ও বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মো. আউয়াল হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক শাহরিয়ার জিলন ও মো. রানাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় বিজেপির কার্যালয়ে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনেও বিজেপির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উভয় দলের অফিসের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিকেলে শহরে নৌবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও বিজেপি নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দায়ী করেছেন।
তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেন, তাঁদের নির্ধারিত সভা ও মিছিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান ও এনামুল হক এতে বক্তব্য দেন।
জাতীয় যুব সংহতি ভোলা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন শাওন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে লোকজনকে আহত করেছে। তারা জেলা বিজেপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।