শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচারপ্রার্থী বাবাকে মারধরের ঘটনায় এবার মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের অপরাধের দায় বাহিনীর নয়। যে সদস্য অপরাধ করেছেন, দায় তাঁকেই নিতে হবে। মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় গত শনিবার সন্ধ্যায় শিশু ধর্ষণচেষ্টার বিচারপ্রার্থীকে পুলিশ প্রহার করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত এএসআই আরিফকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এরপর সোমবার রাতে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মো. শাহীন জানান, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফ হোসেন থানার ভেতরে বিচারপ্রার্থীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় আমাকে মানিকগঞ্জ থেকে মাদারীপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। আদেশ প্রাপ্তির পর শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে দায়িত্বভার বুঝে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, শিবালয়ের থানার ভেতরে একজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক বিচারপ্রার্থীকে মারধরের ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় পুলিশের ইমেজ কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এএসআই ঘটনাটি ঘটালেও থানার ওসি হিসেবে মো. শাহীন কোনোভাবেই এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। এ ছাড়া ঘটনার সময় থানায় কে কে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের ভূমিকাও কী ছিল সব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে।