নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে লাশটি খুঁজে পান তাঁরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানান।
এ বিষয়ে সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা জাগলার চরে যান বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারা দিন খোঁজ করে বিকেলে কেউড়া বনের মধ্যে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পান। তবে লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।
হাতিয়া থানার ওসি বলেন, নিখোঁজ সামছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।