মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’
সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’
মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’
এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।