জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা দেশজুড়ে পথসভা করছেন। বরগুনার আমতলীর বাধঘাট চৌরাস্তাতে এনসিপি নেতাদের জন্য ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও শত শত কর্মী-সমর্থক সভাস্থলে জড়ো হন। তাঁরা আশা করেছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে বক্তব্য দেবেন, এলাকার প্রান্তিক মানুষের কথা শুনবেন। কিন্তু সব আয়োজন ম্লান করে দিয়ে এনসিপির নেতারা মঞ্চের পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন। মঞ্চে নেতারা বক্তব্য না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পথসভায় আসা নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিভাসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে না উঠে পাশ দিয়ে গাড়িতে চলে গেছেন। মঞ্চের দিকে তাঁরা ফিরেও তাকাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘আমরা দুপুর থেকে অপেক্ষা করেছি। কিন্তু নেতারা মঞ্চে না উঠে পাশ দিয়ে চলে গেলেন। এটা কি আমাদের প্রতি অসম্মান নয়?’
ডেকোরেটর ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, ‘এনসিপি নেতাদের আসার কথা। তাদের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু তারা মঞ্চ উঠেনি, তাই মঞ্চ গুটিয়ে নিচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, এত আয়োজন করেও যদি মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করা হয়, তাহলে এমন অনুষ্ঠান আর করার প্রয়োজন কী? এ ছাড়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন দূরত্ব তৈরি হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ জানান, বরগুনা জেলায় কর্মসূচি থাকায় উপজেলার পথসভায় যোগ দিতে পারেননি নেতারা। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশে জুলাই পথযাত্রা জেলায় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই উপজেলায় করতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সময় সংক্ষিপ্ত, তাই পারলাম না।’