করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। গণপরিবহন বন্ধ। তবে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য চার রুটে প্রতিদিন ৮ টি ট্রেন বিশেষ পার্সেল ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
লকডাউনে বাংলাদেশ যে চারটি রুটে পার্সেল ট্রেন পরিচালনা করছে রুটগুলো হলো ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ি, খুলনা-চিলাহাটি ও পঞ্চগড়-ঢাকা।
বিশেষ এই পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন- শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ২৫ শতাংশ রেয়াতি ও অন্যান্য সব ধরনের চার্জ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চলাচল করা পার্সেল ট্রেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহদত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। তবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ে মালবাহী ট্রেনের পাশাপাশি চারটি রুটে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ কৃষকরা খুব স্বল্পমূল্য তাদের উৎপাদিত পণ্য ট্রেনে পরিবহন করতে পারবেন। পার্সেল ট্রেনে পণ্য পরিবহনে কৃষক যেমন লাভবান হবেন। একই সাথে কৃষি অর্থনীতিকে জোরদার করার পাশাপাশি রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ক্রমাগত অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়'।
পার্সেল ট্রেন পণ্য পরিবহনে রুটভিত্তিক ভাড়া
ঢাকা-সিলেট রুটের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটারের জন্য কেজি প্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৪৬ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি ১ টাকা ১৭ পয়সা, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ি ৪৬৯ কিলোমিটারের জন্য কেজি প্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ৩৯০ কিলোমিটারের জন্য কেজি প্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা, খুলনা-চিলাহাটি রুটে ৪৯০ কিলোমিটারের জন্য কেজি প্রতি ১ টাকা ৩৬ পয়সা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল-ঢাকা রুটে ৫৯৩ কিলোমিটারের জন্য কেজি প্রতি ১ টাকা ৫৬ পয়সা ধার্য করা হয়েছে।