ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আট দিন পর দেশে এসেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়ন এবং ভারতের বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ন।
নিহত যুবক হলেন শান্ত ইসলাম (২৫)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শিপন ইসলামের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীন আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত দিয়ে একদল চোরাকারবারি ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নিউ উদয়া ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৪/৩-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ সময় নিউ উদয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাধা দিলে চোরাকারবারিরা বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
বিএসএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে শান্ত ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তকে ভারতের করিমপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শান্ত ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা ও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পর আজ শনিবার সন্ধ্যায় জামালপুর বিওপি-সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস এলাকায় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ভারতীয় পুলিশ দৌলতপুর থানা-পুলিশের কাছে শান্ত ইসলামের লাশ হস্তান্তর করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।