করোনাভাইরাস এখন মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। আমরাও সেই ধাক্কাটা দেখতে পারছি। আমরা তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নিলেও, মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেটা আমরা নিবো।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭১তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন শেখ হাসিনা।
উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাও সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। অপরকেও যাতে সুরক্ষিত রাখা যায় সেই ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। আমি সমগ্র দেশবাসীকে বলবো শুধু ঢাকায় না, অনলাইনে আরও অন্যান্য জায়গায় যারা আছেন, প্রত্যেকে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধিটা যাতে মেনে চলে সেই ব্যবস্থাটা করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা চলতে দিতে হবে। তাদের আমরা কষ্ট দিতে পারি না। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা একান্তভাবে অপরিহার্য। সেই বিষয়ে সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলবেন। মাস্ক পরা ও গার্গেল করা খুবই দরকার। যখন কারো সঙ্গে মিশবেন, কাজ করবেন, অফিস-আদালতে যাবেন, মার্কেটে যাবেন ঘরে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে গরম পানির ভাপ নিবেন।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ক্ষমতায় আসলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উন্নীত হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে সক্ষমতা পেয়েছে। দারিদ্রের হার ৪১ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। প্রবৃদ্ধি আমরা ৮ দশমিক ১৫তে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য করোনাভাইরাস আজকে সারাবিশ্বট তোলপাড় করে দিয়েছে। বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে গণমুখী জনপ্রশাসন ব্যবস্থা সুসংহত করবার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা যেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেই জন্য বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মালিক জনগণ। সেই জনগণ হতদরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক, ভিখারি হোক না কেন তিনিও কিন্তু এই দেশের মালিক। সেই কথাটা মনে করে তাদের সেবা দিবেন। এটাই আমি চাই।