বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুরে লিটন সিকদার (৩৮) নামের এক সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে বাড়িতে আটকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় লিটনের ভাই, বোন ও মাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় কাশিপুরে বিল্লবাড়ী গ্রামের গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
লিটন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লিটন সিকদারের বোন মুন্নি বেগমকে বিয়ে দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী গাজী বাড়ির জাকির গাজীর সঙ্গে। জাকির গাজী সম্প্রতি আরও একটি বিয়ে করেন। এতে জাকিরের গোপন অঙ্গে ইলেকট্রিক শক দিয়ে আহত করেন লিটন। ওই ঘটনার পর থেকে কয়েক দিন ধরে লিটন সিকদারকে খুঁজছিলেন জাকিরের স্বজনেরা।
আজ আসরের নামাজের পরপরই পুলিশ এলে লিটন সিকদারের বাড়ি ঘেরাও দেন একদল যুবক। এই অবস্থা দেখে পুলিশ সটকে পড়ে। বোনজামাই জাকির গাজীর চাচা স্থানীয় আলো গাজীর নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন বাড়ির মধ্যে ঢুকে লিটনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। এ সময় লিটনের ডান হাত কেটে ফেলা হয়।
পরে ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কুপিয়ে আহত করা হয় ছোট ভাই সুমন সিকদার (৩৪), বোন মুন্নি বেগম (৩৬) ও তাঁর মাকে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ ওই স্থানে আসে।
গুরুতর আহত মুন্নি বেগম জানান, তাঁর স্বামী জাকির হোসেন গাজী গোপনে আরও একটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে আজ আদালত থেকে জামিনের পর তাঁরা পুলিশ নিয়ে বাড়িতে আসেন। তখন পুলিশের সামনে বসে একদল লোক তাঁদের ওপর হামলা করে ঘরে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছেন। তখন তাঁর ভাই লিটনকে কুপিয়ে হত্যাসহ তাঁদের কুপিয়ে আহত করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, স্থানীয় বিরোধে লিটন নামের একজন মারা গেছেন। হাসপাতালেও দুজন ভর্তি রয়েছেন। কারা মেরে ফেললেন—এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে একটু পরে বলব।’