অবশেষে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কেএমপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুসরণ করে তাঁকে কোর্টে চালান দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, এসআই সুকান্তকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আবার কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে ভবনের সামনের সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ কর্মকর্তা সুকান্তকে আটক করে খানজাহান আলী থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ছাত্র-জনতা। কিন্তু রাতেই থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁরা পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে রাত পৌনে ৯টায় বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি স্থগিত রাখেন। তবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আজ বিকেলে আবার কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্র জানায়।