হেফাজতে ইসলামের ডাকা সারাদেশে হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। স্থানীয় প্রেসক্লাবেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল ১১টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেওয়াসহ সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হামলা ও আগুন দেয়া শুরু করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, সকালে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময়ে শহরের পৈরতলায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের সাথে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়৷ একপর্যায়ে সমর্থকরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়িতে আগুন, জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেয়।
একই সময়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ভাংচুর ও আগুন, ধীরেন্দ্র নাথ ভাষা চত্তরের বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের অফিসে আগুন, আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও আগুন, মুক্তমঞ্চে আগুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর, কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা, ব্যাংক এশিয়ার ফটকে ভাংচুর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা সঙ্গীতাঙ্গনে আগুন ও হামলা করেছে হরতাল সমর্থকরা।
একপর্যায়ে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার সময় অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা প্রেসক্লাবে ভাংচুর করে চলে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।