হোম > বিশ্লেষণ

ডিসেম্বরের মধ্যেই ফের যুদ্ধে জড়াতে পারে ইরান-ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই ইরানের সঙ্গে নতুন যুদ্ধ শুরু করবে। এমনও হতে পারে, হয়তো চলতি আগস্টের শেষেই এই যুদ্ধ শুরু করতে পারে তেল আবিব। ইরানও এমন আক্রমণের আশঙ্কা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম যুদ্ধে সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হবে ধরে নিয়ে ইরান দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিয়েছিল, ধীরে ধীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। তবে এবার ইরান শুরু থেকেই শক্তিশালী ও নির্ণায়ক আঘাত হানতে পারে। তেহরানের লক্ষ্য থাকবে ‘ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য’ দমন করা অসম্ভব—এমন ধারণা ভেঙে ফেলা।

ফলে আসন্ন যুদ্ধ আগের যুদ্ধের তুলনায় অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী-প্রাণঘাতী হওয়ার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবার ইসরায়েলের চাপে নতি স্বীকার করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন, তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে এমন এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে, যার তুলনায় ওয়াশিংটনের কাছে ইরাক যুদ্ধও সহজ বলে মনে হবে।

ইসরায়েলের জুন মাসের যুদ্ধ আসলে কখনোই শুধু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছিল না। এর মূল লক্ষ্য ছিল—মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য পাল্টে দেওয়া। ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা কখনোই চূড়ান্ত বিষয় ছিল না। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চাপ দিয়ে আসছে, যাতে ইরান দুর্বল হয় এবং এমন এক আঞ্চলিক ভারসাম্য তৈরি হয়, যেখানে ইসরায়েলের প্রাধান্য থাকবে। কিন্তু এটি ইসরায়েল একা অর্জন করতে পারবে না।

এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের হামলার তিনটি বড় লক্ষ্য ছিল—কেবল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা দুর্বল করা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকেও সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা, ইরানের শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং দেশটিকে সিরিয়া বা লেবাননের মতো দুর্বল করে ফেলা, যেখানে ইসরায়েল নির্বিঘ্নে বোমা হামলা চালাতে পারবে, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ছাড়াই। তবে এ তিনটির মধ্যে কেবল একটি লক্ষ্য আংশিক সফল হয়। ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংস’ করতে পারেননি, কিংবা সেটিকে এমন জায়গায় পাঠাতে পারেননি, যেখানে বিষয়টিকে সমাধান হয়ে গেছে বলা যায়।

অন্যভাবে বললে, জুনের হামলায় ইসরায়েল সর্বোচ্চ ‘আংশিক সাফল্য’ পেয়েছে। ইসরায়েলের কাঙ্ক্ষিত ফল ছিল, ট্রাম্প যেন পূর্ণমাত্রায় জড়িয়ে পড়েন, ইরানের প্রচলিত বাহিনী এবং অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানান। কিন্তু ট্রাম্প দ্রুত ও নির্ণায়ক সামরিক পদক্ষেপের পক্ষপাতী হলেও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে যেতে ভয় পান। তাই তাঁর কৌশল ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সীমিত হামলা চালানো, যাতে সংঘাত উসকে না উঠে। স্বল্পমেয়াদে ট্রাম্প এতে সফল হয়েছিলেন—তবে এটি ইসরায়েলের বিরক্তির কারণ হয়েছিল—কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তিনি ইসরায়েলের তৈরি করা এক উত্তেজনাপূর্ণ চক্রে জড়িয়ে পড়েছেন।

ট্রাম্পের সীমিত বোমাবর্ষণ অভিযানের বাইরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার বড় কারণ। যুদ্ধ চলতে থাকায় ইসরায়েল গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়ে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ইরান ক্রমশ দক্ষতার সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তা ভেদ করে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি করতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি যুদ্ধে অংশ নিলে ইসরায়েল লড়াই চালিয়ে যেত, কিন্তু যখন স্পষ্ট হলো ট্রাম্পের হামলা কেবল এককালীন, তখন পরিস্থিতি বদলে যায়। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টানতে সফল হয়েছিল, তবে ধরে রাখতে পারেনি।

ইসরায়েলের বাকি দুইটি লক্ষ্য স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। গোয়েন্দা অভিযানে শুরুর দিকে কিছু সাফল্য মিলেছিল। যেমন, ইসরায়েল ইরানের ৩০ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং ১৯ পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করতে পেরেছিল। কিন্তু এসব কেবল অস্থায়ীভাবে ইরানের কমান্ড ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাকে ব্যাহত করেছিল। মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান বেশির ভাগ কমান্ডারকেই প্রতিস্থাপন করে এবং ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে প্রমাণিত হয়, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ইরান শক্তিশালী আঘাত হানার মতো সক্ষমতা ধরে রেখেছে।

ইসরায়েল আশা করেছিল, প্রথম দিকের হামলায় ইরানের শাসকগোষ্ঠীর ভেতর ভীতি ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে। ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ফারসি ভাষায় দক্ষ মোসাদের এজেন্টরা ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোবাইলে হুমকি দিয়েছিল। মোসাদ এজেন্টেরা হুমকি দিয়েছিল যে, তাদের ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে, যদি না তারা ভিডিও করে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। যুদ্ধের শুরুর সময়, এমন ২০ টিরও বেশি ফোন কল করা হয়েছিল। কিন্তু এর প্রমাণ নেই যে, একজন ইরানি জেনারেলও এই হুমকিতে নতি স্বীকার করেছিলেন। বরং শাসকগোষ্ঠীর সংহতি অটুট ছিল।

ইসরায়েলের প্রত্যাশার বিপরীতে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস বা বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের হত্যার পরও দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো গণবিক্ষোভ বা বিদ্রোহ দেখা যায়নি। উল্টো, রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে ইরানিরা দেশকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ হয়। জাতীয়তাবাদের ঢেউ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েল ইরান সরকারের তথাকথিত অ-জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারেনি। প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালানো এবং পারমাণবিক আলোচনার সময় ইরানের ওপর প্রতারণামূলক হামলা করার পর কেবলমাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ—মূলত প্রবাসী ইরানিরাই—ইসরায়েলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

বরং ইরানি জনগণকে শাসকগোষ্ঠীর বিপক্ষে দাঁড় করানোর পরিবর্তে ইসরায়েল ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বয়ানকে নতুন জীবন দিয়েছে। আগে ইরানিদের একাংশ অভিযোগ করত, সরকারের বিনিয়োগ পরমাণু কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র ও মিত্র অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠী গুলোতে কেন করা হচ্ছে। এখন অনেকে ক্ষুব্ধ যে, এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না।

তেহরানের এক শিল্পী জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নারগেস বাজোগলিকে বলেন, ‘আগে আমি বিক্ষোভে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতাম—ইরানের অর্থ লেবানন বা ফিলিস্তিনে পাঠিও না। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, আমাদের যে বোমার মুখোমুখি হতে হয়, তা আসলে একটাই। আর যদি আমাদের পুরো অঞ্চলে শক্ত প্রতিরক্ষা না থাকে, তবে যুদ্ধ আমাদের ঘরে চলে আসবে।’

এই পরিবর্তিত মনোভাব কত দিন স্থায়ী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আপাতত ইসরায়েলের হামলা উল্টো ইরানের শাসনব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করেছে—অভ্যন্তরীণ সংহতি জোরদার করেছে এবং রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়েছে। ইসরায়েল ইরানকে সিরিয়ার মতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতেও ব্যর্থ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া টেকসই আকাশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েল ইরানের আকাশসীমার কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করলেও তা ছিল না নির্বিঘ্ন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং তা ইসরায়েলের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল হয়তো যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হতো না। যেমন, শুধু ১২ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে যেসব থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছিল তার ২৫ শতাংশ ব্যবহার করে ফেলেছে তেল আবিব। বাকি যা আছে, তার জোরে নতুন করে ইসরায়েলের ইরানে হামলা শুরুর সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সেনাপ্রধান ইয়াল জামির এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন। জামির বলেছেন, জুনের যুদ্ধ ছিল প্রথম ধাপ, আর এখন ইসরায়েল ‘সংঘাতের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে।’

ইরান পুনরায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করুক বা না করুক, ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে—তারা ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার পুনরায় গড়ে তোলা, আকাশ প্রতিরক্ষা পুনর্গঠন বা উন্নত ব্যবস্থা মোতায়েনের সময় দেবে না। এই যুক্তিই ইসরায়েলের তথাকথিত ‘ঘাস কাটা’ কৌশলের মূল। এই কৌশলে প্রতিপক্ষকে বারবার ও আগেভাগেই আঘাত করা হয়, যাতে তারা এমন সামরিক সক্ষমতা তৈরি করতে না পারে যা ইসরায়েলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।

অর্থাৎ, ইরান যখন নতুন করে সামরিক সম্পদ গড়ে তুলছে, তখন সেটিই হয়ে উঠছে ইসরায়েলের কাছে দ্রুত হামলা চালানোর অজুহাত। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র যখন মধ্যবর্তী নির্বাচনী মৌসুমে প্রবেশ করবে, তখন আরেকটি আক্রমণ দেশটির রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশকেও আরও জটিল করে তুলবে। তাই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইসরায়েল হামলা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই ধরনের ফলাফল যাতে ইসরায়েল অর্জন করতে না পারে, তা ইরানি নেতারা ঠেকাতে চাইছেন। ইসরায়েলের ‘ঘাস কাটা’ কৌশল কার্যকর—এমন কোনো ধারণা ভাঙতে ইরান সম্ভবত পরবর্তী যুদ্ধে শুরুতেই ইসরায়েলে প্রচণ্ড ও দ্রুত আঘাত হানবে। এক্সে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি লিখেছেন, ‘আবার আগ্রাসন হলে আমরা আরও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করব না, আর তা আড়াল করা হবে অসম্ভব।’ ইরানি নেতাদের বিশ্বাস, ইসরায়েলের জন্য পরবর্তী যুদ্ধের ব্যয় এতটাই ভয়াবহ হতে হবে যে ধীরে ধীরে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ক্ষয়ে যাবে এবং পুরো দেশ অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

জুনের যুদ্ধ নিষ্পত্তিহীনভাবে শেষ হলেও, পরবর্তী যুদ্ধের ফল নির্ভর করবে কোন পক্ষ বেশি শিখেছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে তার ওপর। ইসরায়েল কি ইরানের তুলনায় দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজুত করতে পারবে? মোসাদ কি এখনো ইরানের ভেতরে গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে, নাকি প্রথম দফার যুদ্ধে শাসন পরিবর্তনের চেষ্টায় তাদের বেশির ভাগ এসেটস ব্যয় হয়ে গেছে? ইরান কি ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ভেদ করার ক্ষেত্রে বেশি জ্ঞান অর্জন করেছে, নাকি ইসরায়েল তাদের দুর্বলতা পূরণে বেশি সফল হয়েছে? আপাতত, কোনো পক্ষই এসব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে দিতে পারছে না।

এ কারণেই ইরান নিশ্চিত হতে পারছে না যে, আরও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানালেই ইসরায়েলের কৌশল ব্যর্থ হবে। তাই দেশটি তার পারমাণবিক অবস্থান নতুন করে বিবেচনা করতে পারে—বিশেষ করে যখন তাদের তথাকথিত প্রতিরোধ অক্ষ এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে অস্পষ্টতাসহ অন্য উপায়গুলো অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

দ্বিতীয় ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়াতে তিনি অনিচ্ছুক বলেই মনে হয়। রাজনৈতিকভাবে, তাঁর প্রাথমিক হামলাই তাঁর মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইনে গৃহযুদ্ধ ডেকে এনেছিল। সামরিকভাবে, মাত্র ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে ভয়াবহ ঘাটতি ধরা পড়েছে। ট্রাম্প এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়েই এমন এক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য অংশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবহার করেছেন, যেটিকে কোনো পক্ষই যুক্তরাষ্ট্রের মূল স্বার্থের জন্য অপরিহার্য মনে করে না।

কিন্তু প্রথম আঘাতের অনুমোদন দিয়ে ট্রাম্প আসলে ইসরায়েলের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছেন—এবং এখন তিনি সেখান থেকে বের হতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। বিশেষত, যদি তিনি ইরানের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে শূন্য সমৃদ্ধকরণকেই শর্ত মানতে থাকেন। সীমিত সম্পৃক্ততা এখন আর সম্ভব নয়। ট্রাম্পকে হয় পুরোপুরি যুদ্ধে নামতে হবে, নয়তো সম্পূর্ণ সরে দাঁড়াতে হবে। আর সরে দাঁড়ানো মানে শুধু একবার অস্বীকার করা নয়—বরং ইসরায়েলের চাপের মুখেও ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এখন পর্যন্ত তিনি সে ধরনের ইচ্ছাশক্তি বা দৃঢ়তা কোনোটি-ই দেখাননি।

অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকা'র সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

দোনেৎস্ক: শান্তি-আলোচনার টেবিলে পুতিন-জেলেনস্কির অন্তিম বাধা, এর গুরুত্ব কতটা

কী হবে, যদি বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

পুতিন-মোদির আসন্ন বৈঠকের মূলে কী আছে

শাহেনশাহ-ই-পাকিস্তান: আসিম মুনিরের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার স্বপ্ন কি তাসের ঘর

যে ইমরান খানকে আমি চিনতাম—শশী থারুরের স্মৃতিকথায় আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার উত্তেজনায় রাশিয়া ও চীন কেন নীরব

দুবাইয়ে তেজস দুর্ঘটনা: সামনে আসছে ভারতের যুদ্ধবিমান কর্মসূচির পুরোনো দুর্বলতা

হাসিনার ভাগ্যে কী আছে

ইমরানকে সরানোর খেসারত: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর নীরব অভ্যুত্থান, দেশ শাসনের নয়া মডেল