হোম > বিশ্লেষণ

নতুন পর্বের প্রস্তুতি রাশিয়ার

ইউক্রেনে রুশ হামলা আরেকটি নতুন পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এ জন্য রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাড়তি সেনা মোতায়েনসহ সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। ছয় মাসে পা দেওয়া যুদ্ধের এ পর্যায়ে ইউক্রেনকে আরও ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অত্যাধুনিক দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়া ও রুশপন্থী স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা জোরদারের আশা করছে কিয়েভ।

আল জাজিরা জানায়, গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নব উদ্যমে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এ জন্য নিকটবর্তী ক্রিমিয়া দ্বীপে বাড়তি ব্যাটালিয়ন ট্যাকটিক্যাল গ্রুপ (বিটিজি) মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিটি বিটিজিতে ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার সেনা থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী খেরসন শহরসহ আরও কয়েকটি শহরে নতুন করে হামলায় এসব গ্রুপ সহায়তা করতে পারবে।

এদিকে পাল্টা হামলার জন্য ইউক্রেনকে আরও ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্যাকেজে হাই মোবিলিটি রকেট সিস্টেমসের (হিমার্স) জন্য গোলাবারুদ ও মাটি থেকে আকাশে নিক্ষেপকারী ক্ষেপণাস্ত্র (নাস্যামস) এবং আহত সেনাদের বহন করার জন্য ৫০টি এম ১১৩ সাঁজোয়া গাড়ি থাকতে পারে। আগামীকাল সোমবার প্যাকেজটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার ইউক্রেনের জন্য ৫৫ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরুর পর দেশটিকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৮০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। দুই মাসে প্রায় ১৬টি হিমার্স দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার প্রায় অর্ধেক ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, দনবাসের লুহানস্ক ও দনেৎস্কের হাসপাতাল, স্কুলসহ আবাসিক এলাকাকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে ইউক্রেন। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কিয়েভ। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের অ্যামনেস্টিপ্রধান ওকসানা পোকালচুক। কিন্তু নিজেদের প্রতিবেদন নিয়ে অনড় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।

কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী রাশিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের পর্যটন নগরী সোচিতে গত শুক্রবার প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এতে তাঁরা কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি, রাশিয়ার সার ও শস্য রপ্তানির চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা এবং মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষত সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। ২০২১ সালে দুই দেশের বাণিজ্য আগের বছরের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুতিন।

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খান—ক্রিকেট বিশ্বের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন

ইরান ও ইসরায়েলে সমানতালে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি

পাকিস্তানকে এফ-১৬ আধুনিকীকরণের প্যাকেজ, ভারতকে কী বার্তা দিতে চান ট্রাম্প

ডার্ক ফ্লিট: নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেভাবে চলে ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল পাচার

এআই চাকরি কেড়ে নিচ্ছে আমেরিকায়, কিন্তু নিয়োগ বাড়াচ্ছে ভারতে—কীভাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ না সম্ভাবনা

শত বছর আগে জাপানের কাছে হারের বদলা চান সি চিন পিং!

কোন দেশে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য সর্বাধিক, বাংলাদেশের চিত্র কেমন

যুদ্ধক্ষেত্রে কতটা দক্ষ ইতালির জঙ্গি বিমান ইউরোফাইটার টাইফুন

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত থামেনি, ট্রাম্প ‘থামিয়েছেন’ দাবি করা অন্য যুদ্ধগুলোর কী অবস্থা