বৈদেশিক ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে চরম সংকটে পড়ার জ্বলন্ত উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক সহায়তা ঠিকঠাক না পেলে একই পরিণতি হতে পারে পাকিস্তানেরও। লেবানন, সুরিনাম, জাম্বিয়া এমনকি রাশিয়াতেও সংকট দেখা দিতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি শুরু হয়েছে দেশে দেশে। এসবের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মন্দায় প্রবেশ করেছে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে এই সংশয় প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আর্থিক সংকট কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ রয়েছে এমন নয়। বেলারুশ ও তিউনিসিয়াও যুক্ত হয়েছে এই তালিকায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলই এখন তাদের ত্রাণকর্তা। ইউরোপে জার্মানি, গ্রিস, স্পেন ও পর্তুগাল অস্থিরতা দমন করতে কর ছাড় ও জ্বালানিতে ভর্তুকির ঘোষণা দিয়েছে। আফ্রিকায় নাইজেরিয়া ও জাম্বিয়া একই কাজ করেছে।
এশিয়ায় ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় সামাজিক ব্যয় বাড়িয়েছে এবং নাগরিকদের নগদ অর্থ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, এখন মুদ্রাস্ফীতির অর্থ হলো প্রবৃদ্ধির সংকট সৃষ্টি।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট কমবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে, যা ১৯৭৬ ও ১৯৭৯ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।