সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা ভাটা লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার পর সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) খাসোগি হত্যায় তিরস্কার করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সুরে সুর মেলান পশ্চিমা নেতারাও। এদিকে, চীনও চাইছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও বাড়াতে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, মধ্যপ্রাচ্যই কি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অব্যাহত প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে থাকবে?
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বলছে, প্রভাব বিস্তার নিয়ে চীনের সঙ্গে তাদের চলমান প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে ইউরোপের নেতাদের দৃষ্টিও এ অঞ্চলের ওপর। বসে নেই চীনও। আর এ জন্য সব পক্ষই সৌদি যুবরাজ এমবিএসের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
ঐতিহাসিকভাবে এর মূল কারণ তেল এবং গ্যাস হলেও নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘হেলথ সিল্ক রোড’। করোনা মহামারির সময় মধ্যপ্রাচ্যে স্বাস্থ্যসেবায় বেশ ব্যবসা করেছে চীন। এখনো চাঙা ভাব ধরে রাখতে চায় বেইজিং। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরব এখন চীনের শীর্ষ অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ। আর এ বাণিজ্যে ডলার না নিয়ে চীনের মুদ্রা ইউয়ান নিচ্ছে সৌদি আরব, বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশ উদ্বেগের।
এদিকে, গতকাল ফ্রান্সের প্যারিসে গেছেন সৌদি যুবরাজ। সাংবাদিক খাসোগি হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মুখেই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তবে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, জ্বালানির প্রয়োজনে এমবিএসের সঙ্গে আলোচনা হবে।