তখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি শাহ থিতু হন চাঁদপুরের (বর্তমান শাহরাস্তি উপজেলার) শ্রীপুর গ্রামে। শাহরাস্তি উপজেলার নাম হয়েছে তাঁর নামেই। তিনি ১৩৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সাড়ে তিন শ বছর পর সুবেদার শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির আদেশে রাস্তি শাহর সমাধিকে ঘিরে মাজার নির্মাণ করেন কাজী গোলাম রসূল। সম্রাট ফিরোজ শাহ তুঘলকের আমলে হজরত শাহরাস্তি (র.) বোগদাদি মাজার শরিফের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকার ৬৪ একর সম্পত্তি লাখেরাজ দান করেন। কথিত আছে, মাজারের উত্তর দিকের বড় দীঘিটি রাস্তি শাহর নির্দেশে এক রাতের মধ্যে জিনেরা খনন করে দেয়।