চম্পাই নগরের শিবভক্ত চাঁদ সওদাগর নাগ দেবী মনসার পূজা না করায় দেবী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এক গণক ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, সওদাগরপুত্র লখিন্দরের মৃত্যু হবে বাসরঘরে সাপের কামড়ে। তাই বেহুলার সঙ্গে লখিন্দরের বিয়ে হলে তাদের বাসরঘর লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু মনসা দেবী সুতার আকার ধারণ করে বাসরঘরে গিয়ে লখিন্দরকে দংশন করে। পরে শ্বশুরকে মনসার পূজারি করার শর্তে বেহুলাকে তাঁর স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে রাজি হয় দেবী। এই লোককাহিনির প্রভাবে অনেকে বিশ্বাস করে বগুড়ার প্রত্নস্থান ‘গোকুল মেধ’ হচ্ছে ‘বেহুলার বাসরঘর’। কেউ কেউ লখিন্দরের মেধও বলে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আনুমানিক ৭ম-১২শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমান গবেষকদের মত—গোকুল মেধ ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট দেবপাল নির্মিত একটি বৌদ্ধমঠ। এখানে ষাঁড়ের প্রতিকৃতির একটি স্বর্ণ পত্র পাওয়া গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করে এটি শিবমন্দির ছিল।