হোম > আড্ডা

ক্রিমিনাল এরিয়া

সে সময় স্কেচ খাতা হাতে বেরিয়ে পড়াই ছিল জীবনের আনন্দ। কাইয়ুম চৌধুরী আর রশিদ চৌধুরী সে রকমই একবার বেরিয়ে পড়েছিলেন আঁকিবুঁকির জন্য। এমনিতে তাঁরা আড্ডা দিতেন ঠাটারীবাজারে রশিদ চৌধুরীর বাড়িতে। অনেকের মধ্যে রশিদের পরিবার ছিল সচ্ছল। বেশ কয়েক ভাই ছিল বলে এই বাড়িটা সব সময় সরগরম থাকত।

সে সময় রশিদ চৌধুরী মালিবাগে এলেন। ভোররাতে যখন আকাশে তারার মেলা, তখন রশিদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম আর কাইয়ুম চৌধুরী স্কেচ করার জন্য বেরিয়ে পড়লেন পথে। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন অনেক দূর। রামপুরা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন।

সূর্য ওঠার পর যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন বসে পড়ছেন আর ছবি আঁকছেন তাঁরা। আঁকা শেষ হলেই আবার হাঁটছেন, আবার বসছেন, আঁকছেন, হাঁটছেন ফের।
একটা খেতের পাশে বসে যখন আঁকছেন তাঁরা, তখন একজন লোক এলেন, যাঁর একটা কান কাটা। তিনি আঁকাআঁকি দেখতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর একজন এলেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে। একটা পা নেই। এবং তিনি চলে যাওয়ার পর আরেকজন এলেন, যাঁর হাতখানা কনুইয়ের ওপর থেকে কাটা।

হঠাৎ বিষয়টি লক্ষ করলেন রশিদ চৌধুরী আর কাইয়ুম চৌধুরী। রশিদ চৌধুরী দ্রুত গুটিয়ে নিলেন তাঁর আঁকাআঁকির সমস্ত কিছু। লাফ দিয়ে নামলেন রাস্তায়। বিড়বিড় করে বললেন, ‘জলদি ভাগ, এটা ক্রিমিনাল এরিয়া।’

আসলেই কাজ করতে করতে তাঁরা এক অচেনা জায়গায় চলে এসেছিলেন। জিজ্ঞেস করে জানলেন, এটা টঙ্গী বাজার। শুনেই তাঁরা পরিশ্রান্ত হয়ে গেলেন।
এরপর রাত ১০টায় ট্রেনে করে বাড়ি ফিরলেন।

সূত্র: কাইয়ুম চৌধুরী, জীবনে আমার যত আনন্দ, পৃষ্ঠা: ৭২-৭৩

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার