হোম > আড্ডা

পিটার ব্রুকের প্রশ্ন

একসময় শাবানা আজমি আর ফারুখ শেখ ঢাকায় এসেছিলেন ‘তুমহারি অমৃতা’ নাটকটি নিয়ে। জাভেদ সিদ্দিকী তা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন।

শেরাটন আর জাদুঘর মিলনায়তনে হয়েছিল দুটি শো। এক হাজার ও পাঁচ শ টাকা মূল্যের টিকিট নিমেষে শেষ হয়ে গেল। তখন ঢাকার নাটক সরণিতে একটি নাটক দেখা যেত পঞ্চাশ টাকায়। কোনো সন্দেহ নেই, ভিডিওর কল্যাণে শাবানা আজমি তখন অভিজাত সম্প্রদায়ের কাছে স্টার। তাই স্টারের সঙ্গ পেতে তারা ব্যাকুল। এই দর্শকদের বেশির ভাগকেই বেইলি রোড বা নাটক সরণিতে দেখা যায়নি।

সে প্রসঙ্গেই উঠে আসবে পিটার ব্রুকের নাম। ব্রিটেনের সুবিখ্যাত এই নাটকের মানুষটি তখন বাস করছেন প্যারিসে। তাঁর নাটকটি প্যারিসের মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হওয়া শুরু করলে দেখা যায় দর্শকই আসছে না। নাটকটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তখন পিটার ব্রুক একটা কৌশলের আশ্রয় নেন। তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেন, ‘তাঁর নাটক দেখা যাবে বিনা মূল্যে। টিকিট লাগবে না।’

পরদিন উপচে পড়া দর্শকের মুখোমুখি হলেন তাঁরা। যথারীতি হলো অভিনয়। নাটক শেষে বাইরে যাওয়ার দরজা বন্ধ রাখা হলো। মঞ্চে এসে পিটার ব্রুক দর্শকদের উদ্দেশে বললেন, ‘বলুন, আপনাদের মধ্যে টিকিট কেটে নাটক দেখার সংগতি নেই কার কার? তাঁরা হাত তুলুন।’

দেখা গেল, হাজারখানেক দর্শকের মধ্য থেকে ওপরে উঠেছে মাত্র একটি হাত!

খুবই অবাক হয়ে পিটার ব্রুক জানতে চাইলেন, ‘আপনাদের পকেটে টাকা আছে, তারপরও টিকিট কেটে কেন আপনারা নাটক দেখতে আসেননি?’

দর্শকেরা বললেন, ‘এ নাটকের কথা কাগজে ফলাও করে লেখা হয়নি। লেখা হলে ঠিকই আসতাম!’

পিটার ব্রুক তাঁর লেখায় লিখেছেন, ‘প্রচারমাধ্যমের এই হচ্ছে দানবীয় শক্তি। শিল্পকেও দুর্ভিক্ষে পতিত হতে হয় তার কাছে।’ শাবানা আজমির নাটকে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়টিও প্রচারমাধ্যমের দানবীয় শক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। 
 
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ২৮৯

রাজবাড়ী বধ্যভূমি

লেখা ছেড়ে দেওয়া বিষয়ে

ন্যাশনাল জুট মিলস বধ্যভূমি

বধ্যভূমি ৭১

রহনপুর গণকবর

ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট