লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট। স্থানীয়রা ভেবেছিল হয়তো কোনো জমিদারবাড়ির ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ১০ মহররমের দিন আইয়ুব আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি একটি শিলালিপি খুঁজে পান, যেটিতে লেখা—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ, হিজরি সন ৬৯’।
পরে সেই আড়ায় সতর্কতার সঙ্গে মাটি সরিয়ে পাওয়া যায় তলিয়ে যাওয়া এক মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। লোকে নাম দেয় ‘হারানো মসজিদ’। পরে ওই ধ্বংসাবশেষ অক্ষত রেখে এর ওপর নতুন মসজিদ নির্মিত হয়। সেখানে হারানো মসজিদের উদ্ধারকৃত অনেক ইট সংরক্ষিত আছে। ধারণা করা হয়, এটি বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো মসজিদ এবং নির্মাণ করেছেন সাহাবি আবু ওয়াক্কাস (রা.)।
ছবি: সংগৃহীত