অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ। গতকাল শনিবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় অবিলম্বে বিরোধী রাজনীতিকদের গণগ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ জাসদের এক বিবৃতিতে সভায় গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘এই সভা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, বাংলাদেশ জাসদসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের পুনঃ পুনঃ আহ্বান উপেক্ষা করে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের অহমিকা, ক্ষমতালিপ্সা ও একগুঁয়েমির কারণে আজ রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং দেশব্যাপী জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। গায়ের জোরে নির্বাচনী প্রহসন ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা তৈরি করেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকে গলা টিপে ধরে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গ্রেপ্তার করে, মামলা দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলাপ-আলোচনার পথটিও সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা এই সভা থেকে অবিলম্বে বিরোধী রাজনীতিকদের গণগ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের মুক্তি দাবি করছি।’
বিবৃতিতে সরকারকে দমন-গ্রেপ্তার, মামলা-হামলার পথ পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান, রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখুন এবং সেটা না হওয়া পর্যন্ত জোর করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলবেন না।’
দলের সভাপতি জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, কার্যকরী সভাপতি ইন্দু নন্দন দত্ত, স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, হেমায়েতুল্লাহ হিরু, শহীদুল ইসলাম মীরণ, এ টি এম মহব্বত আলী, রফিকুল ইসলাম খোকন, নূরুল আলম মন্টু, করিম সিকদার, মঞ্জুর আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব প্রমুখ।