হোম > বিশ্লেষণ

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কতটা কাবু করা যাবে রাশিয়াকে

ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা কমাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল শুক্রবার বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নিজেদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একই বিষয়ে একই স্থানে গত সপ্তাহেও দেশ দুটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন। গতবারের বৈঠকের মতো এবারের বৈঠকও কোনো ধরনের ঐকমত্য ছাড়া শেষ হতে পারে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘সম্মিলিত জোট’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তা ছাড়া, রাশিয়া শিগগির ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে এবং এ জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

একই দিন কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে’ ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। তা ছাড়া, বৃহস্পতিবার বার্লিনে জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আগে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমার ধারণা, যেকোনো মুহূর্তে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের আদেশ দিতে পারেন।’

এ ধরনের মন্তব্য ফলপ্রসূ আলোচনার পথে বাধা বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে যেসব মন্তব্য আসছে, তা উত্তেজনা কমাতে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না। বরং বিদ্যমান পরিস্থিতি আরও জটিল করবে।’

আলোচনায় উভয় পক্ষ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারলে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা পুতিনকে কতটা কাবু করতে পারবে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

টেক্সাসের এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইউভাল ওয়েবার বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা স্বল্প মেয়াদে পুতিনকে অতটা ধাক্কা দিতে পারবে না। তবে দীর্ঘ মেয়াদে তা রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেবে। আর রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ হবে অনেকটা নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো।’

তবে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইউরোপকেও ভোগাবে বলে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটর ডেমের ক্রোক ইনস্টিটিউটের ডেভিড কর্রাইট। কারণ অঞ্চলটি রুশ গ্যাসের ওপর বড় ধরনের নির্ভরশীল।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৩ হাজার কোটি ডলার। তাই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সাধারণ মানুষকে ভোগালেও পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের গায়ে তার আঁচ লাগতে বেশ সময় লাগবে।

বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ—ট্রাম্প প্রশাসনের এই দাবি কি যৌক্তিক

চীন চাইলে এক দিনেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে, কিন্তু কীভাবে

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খান—ক্রিকেট বিশ্বের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন

ইরান ও ইসরায়েলে সমানতালে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি

পাকিস্তানকে এফ-১৬ আধুনিকীকরণের প্যাকেজ, ভারতকে কী বার্তা দিতে চান ট্রাম্প

ডার্ক ফ্লিট: নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেভাবে চলে ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল পাচার

এআই চাকরি কেড়ে নিচ্ছে আমেরিকায়, কিন্তু নিয়োগ বাড়াচ্ছে ভারতে—কীভাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল এশিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ না সম্ভাবনা

শত বছর আগে জাপানের কাছে হারের বদলা চান সি চিন পিং!

কোন দেশে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য সর্বাধিক, বাংলাদেশের চিত্র কেমন