রিদওয়ানুল ইসলাম, ঢাকা
বাংলাদেশের তিনটি জেলার মধ্যে মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে তুলনামূলক কম ধারণা রাখে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দারা। জেলাটির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। আবার, জেলাটির মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বুধবার ‘সোশ্যাল অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যানালাইসিস অব ইউজার’স বিহেভিয়ার ইন ঢাকা, ময়মনসিংহ অ্যান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিস্ট্রিক্ট’ শিরোনামে জরিপ প্রতিবেদনটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে জরিপটি পরিচালনা করে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। জরিপটি করেন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি ড. শেখ মোঃ শফিউল ইসলাম ও সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান।
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ৪০০ ব্যক্তির ওপর চালানো সমীক্ষার ভিত্তিতে পাওয়া ফলাফল, ৬টি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন বা দলীয় আলোচনা এবং তিনটি জেলার সংশ্লিষ্ট ২৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া তিনটি জেলার শতকরা ৭০ জন প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন ফেসবুক। এরপরই আছে ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপ। এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন যথাক্রমে ৮০ শতাংশ এবং ২৭ শতাংশ মানুষ।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাড়ে ৭৮ শতাংশ ফেসবুককেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে মনে করেন। ইউটিউবকে তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য উৎস মনে করেন ৭১ শতাংশ এবং নিউজ পোর্টালকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন ৩৭ শতাংশ। খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও বিনোদনের তথ্য পেতে এই তিন জেলার ৬০ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। সাড়ে ৫২ শতাংশ ব্যবহার করেন শিক্ষা সংক্রান্ত খবর পেতে এবং ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাজনীতি ও নির্বাচনের খবরাখবর পেতে সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।
জরিপটিতে জেলাভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪৪ শতাংশ মনে করেন, যেহেতু তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আছে, তাই তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো যেকোনো পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২ শতাংশ মানুষ।
আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৯ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে জেলাটির ৩৩ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে যাচাই করে নেন। এই হার জরিপের আওতাধীন তিন জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন।
মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য হলো, যিনি তথ্যটি ছড়াচ্ছেন, তিনি জেনে ছড়াচ্ছেন, নাকি না জেনে, তা নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। আর ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতমূলক তথ্য প্রচার, খণ্ডিত বা বিকৃত বক্তব্য বা তথ্য তুলে ধরা বা প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার)।
জরিপ প্রতিবেদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই জেলার মানুষ দেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি ধার্মিক। তাঁরা ইসলামি অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলেন। তাই তাঁরা ধর্মীয় যেকোনো তথ্য যাচাই ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার এবং সংরক্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জেলাটির একজন ইমাম বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চার অভাব ধর্মীয় উগ্রতাকে উসকে দেয় এবং এর ফলে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেক সময় ধর্মীয় গুজবও ছড়ায়।
এদিকে ঢাকার ৪৩ শতাংশ মনে করেন, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যা ইচ্ছা তা–ই পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ। আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ঢাকার ৩৯ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। জেলাটির ৩৩ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সম্পর্কে তুলনামূলক সচেতন। তবে বাকি দুই জেলার মতো ঢাকাতেও অনেকের মধ্যে ভুল তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা রয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহের ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নিজের অ্যাকাউন্টে ইচ্ছামতো যেকোনো পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ।
আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ময়মনসিংহের ৪৩ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। জেলাটির ২৬ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, ময়মনসিংহে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে গণমাধ্যম সাক্ষরতার অভাব থাকায় জেলাটির অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে সংবাদমাধ্যমের মতো বিশ্বাস করেন।
জেলাটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে, এখানকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে সচেতন নন। তাঁরা খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট বিশ্বাস করেন এবং কখনো কখনো যাচাই ছাড়াই শেয়ার করেন। এই অঞ্চলের কিশোর–তরুণেরা বাকি দুই জেলার চেয়ে বেশি গুজব ছড়ায়।
বাংলাদেশের তিনটি জেলার মধ্যে মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে তুলনামূলক কম ধারণা রাখে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দারা। জেলাটির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। আবার, জেলাটির মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বুধবার ‘সোশ্যাল অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যানালাইসিস অব ইউজার’স বিহেভিয়ার ইন ঢাকা, ময়মনসিংহ অ্যান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিস্ট্রিক্ট’ শিরোনামে জরিপ প্রতিবেদনটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে জরিপটি পরিচালনা করে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। জরিপটি করেন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি ড. শেখ মোঃ শফিউল ইসলাম ও সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান।
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ৪০০ ব্যক্তির ওপর চালানো সমীক্ষার ভিত্তিতে পাওয়া ফলাফল, ৬টি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন বা দলীয় আলোচনা এবং তিনটি জেলার সংশ্লিষ্ট ২৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া তিনটি জেলার শতকরা ৭০ জন প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করেন ফেসবুক। এরপরই আছে ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপ। এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন যথাক্রমে ৮০ শতাংশ এবং ২৭ শতাংশ মানুষ।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সাড়ে ৭৮ শতাংশ ফেসবুককেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে মনে করেন। ইউটিউবকে তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য উৎস মনে করেন ৭১ শতাংশ এবং নিউজ পোর্টালকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন ৩৭ শতাংশ। খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও বিনোদনের তথ্য পেতে এই তিন জেলার ৬০ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। সাড়ে ৫২ শতাংশ ব্যবহার করেন শিক্ষা সংক্রান্ত খবর পেতে এবং ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রাজনীতি ও নির্বাচনের খবরাখবর পেতে সোশ্যাল ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।
জরিপটিতে জেলাভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪৪ শতাংশ মনে করেন, যেহেতু তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আছে, তাই তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো যেকোনো পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২ শতাংশ মানুষ।
আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৯ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে জেলাটির ৩৩ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৩৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে যাচাই করে নেন। এই হার জরিপের আওতাধীন তিন জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন।
মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য হলো, যিনি তথ্যটি ছড়াচ্ছেন, তিনি জেনে ছড়াচ্ছেন, নাকি না জেনে, তা নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। আর ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতমূলক তথ্য প্রচার, খণ্ডিত বা বিকৃত বক্তব্য বা তথ্য তুলে ধরা বা প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার)।
জরিপ প্রতিবেদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই জেলার মানুষ দেশের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি ধার্মিক। তাঁরা ইসলামি অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলেন। তাই তাঁরা ধর্মীয় যেকোনো তথ্য যাচাই ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার এবং সংরক্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জেলাটির একজন ইমাম বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চার অভাব ধর্মীয় উগ্রতাকে উসকে দেয় এবং এর ফলে বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেক সময় ধর্মীয় গুজবও ছড়ায়।
এদিকে ঢাকার ৪৩ শতাংশ মনে করেন, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যা ইচ্ছা তা–ই পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তবে ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ। আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ঢাকার ৩৯ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। জেলাটির ৩৩ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সম্পর্কে তুলনামূলক সচেতন। তবে বাকি দুই জেলার মতো ঢাকাতেও অনেকের মধ্যে ভুল তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা রয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহের ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নিজের অ্যাকাউন্টে ইচ্ছামতো যেকোনো পোস্ট করতে পারেন। জরিপে অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ মিস ইনফরমেশন বা ভুল তথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ভুল তথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া জেলাটির মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ।
আবার সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ময়মনসিংহের ৪৩ শতাংশ মানুষ ডিস ইনফরমেশন বা কুতথ্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন। জেলাটির ২৬ শতাংশ মানুষ কুতথ্য যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী জেলাটির মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কোনো তথ্য শেয়ারের আগে যাচাই করে নেন।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, ময়মনসিংহে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। ফলে গণমাধ্যম সাক্ষরতার অভাব থাকায় জেলাটির অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে সংবাদমাধ্যমের মতো বিশ্বাস করেন।
জেলাটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে, এখানকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে সচেতন নন। তাঁরা খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট বিশ্বাস করেন এবং কখনো কখনো যাচাই ছাড়াই শেয়ার করেন। এই অঞ্চলের কিশোর–তরুণেরা বাকি দুই জেলার চেয়ে বেশি গুজব ছড়ায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইকে লাভজনক কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য আদালতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছেন ইলন মাস্ক। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়া জেলা আদালতে এই আবেদন দাখিল করেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেউন্নত মানের ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের জন্য ২৪টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। গত ৩০ নভেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশনের থেকে সফলভাবে ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে সফলভাবে স্যাটেলাইটগুলো কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। । স্থানীয় সময় রাত ১২টায় (ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড
৪ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার আর্থিক পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য কঠোর নিয়ম চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক-মালিক কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্ম। গত সোমবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রতারণা রোধের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেজেনারেটিভ এআই (কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা) এখনো আমাদের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এটি এরই মধ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ বদলে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির কথাই ধরা যাক। যাত্রা শুরুর দুই বছরের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের বাইরে, এটি বিশ্বকে এমনভাবে বদলে দিয়েছে বলে দাবি করা কঠি
২১ ঘণ্টা আগে