Ajker Patrika

জয়সওয়ালের সেঞ্চুরিতে সিরিজ ভারতের

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেঞ্চুরির পর জয়স্বী জয়সওয়ালের উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
সেঞ্চুরির পর জয়স্বী জয়সওয়ালের উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

আগের ম্যাচে ভারতের ৩৫৮ রান টপকে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে হিসেবে ‘ফাইনালের’ রূপ নেওয়া শেষ ম্যাচে দারুণ একটা লড়াই-ই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশাখাপত্তনমে তেমন লড়াই আর হলো কই! এক পেশে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।

২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে এসে ভারতের টপ অর্ডার জ্বলে উঠলে ১০ দশমিক ১ ওভারেই জিতে যায় ভারত।

ওপেনিংয়ে এসে সেঞ্চুরি করেছেন জয়স্বী জয়সওয়াল। ১২টি চার ও ২টি ছয়ে ১১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ওয়ানডে এটিই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মাকে নিয়ে ১৫৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৭৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে রোহিত আউট হয়ে গেলে উইকেটে আসেন বিরাট কোহলি। ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৪ বলে তারা ১১৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে বড় জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারী দলের এই স্কোরে বড় অবদান ওপেনার কুইন্টন ডি ককের। ৮টি চার ও ৬টি ছয়ে ৮৯ বলে ১০৬ রান করেন তিনি। পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং বা হাঁতি স্পিনার কুলদীপ যাদব ৪টি করে উইকেট তুলে নিলে এদিন তিন শর নিচেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের পর দ্বিতীয় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ব্যাটে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে দুই দল এখন অংশ নেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ৫ ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৯ ডিসেম্বর কটকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ামিতে লক্ষ্য পূরণ করে ২ বন্ধুকে নিয়ে মেসির আবেগঘন বার্তা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আলবা ও বুসকেতসের সঙ্গে মেসি। ছবি: এক্স
আলবা ও বুসকেতসের সঙ্গে মেসি। ছবি: এক্স

তৃতীয় মৌসুমে এসে ইন্টার মায়ামিতে নিজের লক্ষ্য পূরণ করেছেন লিওনেল মেসি। ফ্লোরিডার ক্লাবটিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্রথম শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। এরপর অবসরে যাওয়া দীর্ঘ দিনের দুই সতীর্থ এবং বন্ধু জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেতসকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

২০২৩ সালে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। একসঙ্গে দীর্ঘদিন বার্সেলোনায় খেলার সুবাদে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কটা দারুণ আলবা ও বুসকেতসের। তাই বন্ধুর দেখানো পথে হেঁটে তাঁরাও নাম লেখান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে। ক্যারিয়ার শেষ করলেন মায়ামির হয়ে এমএলএস জিতে। যেটা স্মরণীয় হয়ে থাকল আলবা ও বুসকেতসের জন্য।

ফাইনালে ভ্যাংকুভারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। ম্যাচ শেষে আলবা ও বুসকেতসকে নিয়ে মেসি বলেন, ‘তাঁরা দুজনই (আলবা ও বুসকেতস) নিজেদের অবস্থান থেকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা। অসাধারণ ক্যারিয়ার পার করেছে। অসংখ্য শিরোপা জিতেছে। এমএলএসের শিরোপা জিতে বিদায় নিতে পারা দারুণ সৌভাগ্যের। হয়তো তারা এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারছে না, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে আজ। এখন তাদের নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। নতুন অধ্যায়ের জন্য আমি তাঁদের শুভকামনা জানাচ্ছি। ওরা দুজনই আমার খুব কাছের বন্ধু। শিরোপা জিতে বিদায় নিতে পারছে বলে আমি খুশি।’

মায়ামির হয়ে এমএলএসের শিরোপা জেতার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘নিয়মিত মৌসুমে প্রথম হয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত বছর আমরা প্রথম রাউন্ডে ছিটকে পড়েছিলাম। এবার আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আমাদের জন্য এমএলএসের শিরোপা জেতা সবচেয়ে বড় পুরস্কার। খেলোয়াড়রা দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে। সবাই নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে পেরেছে।’

এমএলএসে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা মায়ামির সবার জন্য অন্যরকম এক মুহূর্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন মেসি, ‘এমএলএস কাপের শিরোপা জেতা আমাদের এবং মায়ামির মানুষদের জন্য সুন্দর ও আবেগময় এক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। মায়ামি এখনো নতুন একটা ক্লাব। আগের মৌসুমগুলোয় শিরোপা জিততে পারাটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার ছিল। তবে মূল লক্ষ্য ছিল এমএলএস জেতা। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কাছে কেন ‘১৫ জুলাই’ বিশেষ দিন হয়ে উঠতে পারে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৭
বিশ্বকাপে দেখা হয়ে যেতে পারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের। ছবি: এক্স
বিশ্বকাপে দেখা হয়ে যেতে পারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের। ছবি: এক্স

২০২৬ বিশ্বকাপের লাইনআপ সামনে এসেছে গত পরশু রাতেই। প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপের আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। বিশ্বমঞ্চে এত দল অংশগ্রহণ করলেও বরাবরের মতো এবারও সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। ফুটবল বিশ্বের দুই দর্শকপ্রিয় দল বলে কথা। বিশ্বকাপে একটা দিন বিশেষ হয়ে আসতে পারে তাদের জন্য।

১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৪৮ দল বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নামবে। যেখানে গ্রুপ ‘জে’ তে আছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপে লা আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া এবং জর্ডান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি ওভালে বিশ্বকাপ ড্রয়ের পর থেকেই তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপকে তুলনামূলক সহজ মনে করা হচ্ছে।

ব্রাজিল কঠিন গ্রুপে পড়েছে সেটা বলার সুযোগও খুব কম। ‘সি’ গ্রুপে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ মরক্কো, হাইতি, স্কটল্যান্ড। তাদের তুলনায় শক্তির বিচারে বেশ এগিয়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। গ্রুপ পর্বের হিসেব-নিকেশ পেছনে ফেলে সামনে উঠে আসছে অন্য প্রসঙ্গ। আরও একবার বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। সে অপেক্ষা ফুরাতে পারে এবার।

বিশ্বকাপের আগের ২২ আসরে চারবার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই দেখেছে ভক্তরা। সবশেষ ১৯৯০ বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল। ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। ড্রয়ের পর নিশ্চিত হয়েছে, সেমিফাইনালের আগে দেখা হচ্ছে না ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার। তার আগে গ্রুপ পর্ব, শেষ বত্রিশ, শেষ ষোল এবং কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা অতিক্রম করতে হবে লাতিন আমেরিকার দুই জায়ান্টকে।

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে এবং দ্বিতীয়, তৃতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল পেরোতে পারে, তাহলে ১৫ জুলাই আটলান্টায় বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় (যুক্তরাষ্ট্র সময় বেলা ৩ টা) শেষ চারের লড়াইয়ে দেখা হতে পারে তাদের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেটা হবে প্রথম সুপার ক্লাসিকো। সব সমীকরণ মিলে গেলে ১৫ জুলাই দিনটা বিশেষ হয়ে উঠবে পারে এই দুই দল এবং ভক্তদের জন্য।

দেখে নিন বিশ্বকাপে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সময়ের সূচি

ব্রাজিল

জুন ১৪ ব্রাজিল-মরক্কো নিউজার্সি ভোর ৪ টা

জুন ২০ ব্রাজিল-হাইতি ফিলাডেলফিয়া সকাল ৭ টা

জুন ২৫ ব্রাজিল-স্কটল্যান্ড মায়ামি ভোর ৪ টা

আর্জেন্টিনা

জুন ১৭ আর্জেন্টিনা-আলজেরিয়া কানসাস সিটি সকাল ৭টা

জুন ২২ আর্জেন্টিনা-অস্ট্রিয়া ডালাস রাত ১১টা

জুন ২৮ আর্জেন্টিনা-জর্ডান ডালাস সকাল ৮টা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউরোপিয়ান ফুটবলে জোড়া হ্যাটট্রিকের রাত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৩
তরেস ও কেইনের গোল উদযাপন। ফাইল ছবি
তরেস ও কেইনের গোল উদযাপন। ফাইল ছবি

ইউরোপিয়ান ফুটবলে ভিন্ন তিনটি লিগে শনিবার দিবাগত রাতে মাঠে নেমেছিল বেশকিছু প্রথম সারির ক্লাব। সবার অভিজ্ঞতা একরকম হয়নি। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনালের জয়ের বিপরীতে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল এবং চেলসি। দুটি হ্যাটট্রিক দেখেছে ভক্তরা।

লা লিগায় রিয়াল বেতিসের মাঠ থেকে ৫-৩ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা। কাতালানদের জয়ের নায়ক ফেররান তরেস। হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। এস্তাদিও দে লা কার্তুজায় ১১,১৩ ও ৪০ মিনিটে সফরকারীদের হয়ে তিনটি গোল করেন তিনি। বার্সার হয়ে বাকি গোল দুটি করে রুনি বার্দগি ও লামিনে ইয়ামাল।

এই জয়ে টেবিলে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল বার্সা। ১৬ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৪০ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পুঁজি ৩৬ পয়েন্ট। মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য স্বস্তির বিষয় হলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

বার্সার সমান ৫ গোলের দেখা পেয়েছে বায়ার্নও। তবে কোনো গোল হজম করেনি তারা। জার্মান বুন্দেসলিগায় স্টুর্টগার্টকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাভারিয়ানরা। প্রতিপক্ষের মাঠে হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার্নের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। ম্যাচের ৬০ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ২২ মিনিটের মধ্যে তিনবার জালের ঠিকানা খুঁজে নেন সাবেক টটেনহাম হটস্পার তারকা।

তরেস ও কেইনের মতো হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল হুগো একিতিকের সামনে। কিন্তু ২ গোল করেই থামতে হয়েছে তাঁকে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফরাসি স্ট্রাইকার ম্যাচটা রাঙালেও জেতা হয়নি লিভারপুলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে অলরেডরা।

একই অভিজ্ঞতা হয়েছে চেলসির। বোর্নমাউথের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ব্লুজরা। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের অপর ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের হয়ে একবার করে গোলের খাতায় নাম লেখান রুবেন দিয়াস, জোসকো গোভারদিওল ও ফিল ফোডেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেসির জোড়া অ্যাসিস্ট, ইতিহাস গড়ে এমএলএসে চ্যাম্পিয়ন মায়ামি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৮
মায়ামির ফুটবলারদের শিরোপা উদযাপন। ছবি: এক্স
মায়ামির ফুটবলারদের শিরোপা উদযাপন। ছবি: এক্স

লিওনেল মেসি নিজেই যেন জাদুকর। যার জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে যায় দৃশ্যপট। অন্তত ইতিহাস তো এ কথাই বলে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড যেখানে গেছেন, সেখানেই ফুটেছে সাফল্যের ফুল। সর্বশেষ মেসির সেই জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ধরা দিল ইন্টার মায়ামির শোকেসে।

পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। তৃতীয় মৌসুমে এসে ফ্লোরিডার ক্লাবটিকে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) শিরোপা জেতালেন তিনি। ফাইনালে ভ্যাংকুভারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে হ্যাভিয়ের মাশচেরানোর দল।

২০১৮ সালে মায়ামির প্রতিষ্ঠা হয়। মেসি আসার আগে প্রতি মৌসুমেই লিগ টেবিলের তলানিতে থেকেছে তারা। মেসি আসার পর গত ৩ মৌসুমে সমান শিরোপা ঘরে তুলল ক্লাবটি। এর আগে ২০২৩ সালে লিগস কাপের শিরোপা জিতেছিল মায়ামি। গত মৌসুমে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে সাপোর্টার শিল্ডস ঘরে তোলে। এমএলএসের ফাইনালে ভ্যাংকুভারকে হারিয়ে সবচেয়ে আরাধ্য শিরোপার অপেক্ষা ফুরাল মায়ামির।

মায়ামিকে এমএলএস কাপের শিরোপা জিতিয়ে অসংখ্য অর্জনের ভিড়ে আরও একটি সাফল্যের দেখা পেলেন মেসি। এটা ক্যারিয়ারে তারকা ফুটবলারের ৪৭তম শিরোপা। সিনিয়র ফুটবলে যা ৪৪তম।

মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মেসি। মায়ামির ফাইনাল জয়েও রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জালের দেখা না পেলেও সতীর্থের দুটি গোলে সহায়তা করেছেন তিনি। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে প্লে-অফে রেকর্ড ১৫ গোলে অবদান রাখলেন মেসি। এমএলএস কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।

চেজে স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় মায়ামি। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান ভ্যাংকুভারের ডিফেন্ডার ওকাম্পো। প্রথমার্ধের বাকি সময় দাপট দেখালেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভ্যাংকুভার। কিছু সুযোগ তৈরি করে মায়ামিও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে।

বিরতি থেকে ফেরার পর লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। ৬০ মিনিটে তাদের জালে বল পাঠান ভ্যাংকুভারের আলী আহমেদ। ১১ মিনিটের মাথায় ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় মায়ামি। মেসির পাস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রিগো ডি পল। যোগ করা সময়ে তাদেও আলেন্দেকে দিয়ে গোল করিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মেসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত