ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর বাঁচে। কিন্তু মাত্র ৪০ বছর পার করার পরেই বাজপাখিকে বাঁচার জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় পাখিটির শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ, থাবা (পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায়, ফলে শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠোঁট সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। ফলে খাবার খুটে বা ছিঁড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়ার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া তিনটিই ধীরে ধীরে মুশকিল হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় একটি বাজপাখির সামনে তিনটা পথ খোলা থাকে। যথা:
১. আত্মহত্যা
২. শকুনের মতো মৃতদেহ খাওয়া
৩. নিজেকে পুনঃস্থাপন করা।
বাজপাখি এই তিন পথের শেষটি বেছে নেয়। আশ্রয় নেয় উঁচু পাহাড়ে, সেখানে বাসা বাঁধে। আর শুরু করে বাঁচার নতুন প্রচেষ্টা। সে প্রথমে তার ঠোঁটটা পাথরে মেরে মেরে ভেঙে ফেলে। একইভাবে নখগুলো ভেঙে ফেলে আর অপেক্ষা করে নতুন নখ ও ঠোঁট গজানোর। নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালকগুলো ছিঁড়ে ফেলে। কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতুন পালকের জন্য। ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতীক্ষার পর সে সব নতুন করে পায়। পায় আবার সেই লম্বা উড়ান আর ক্ষিপ্রতা। এরপর সে আরও ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মতো শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে-এমন কিছু তথ্য যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে লড়ে যাওয়ার শিক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘সাইকোলজি এবং বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২৩ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে হৃদয় খান নামের অ্যাকাউন্ট থেকে বাজপাখি সম্পর্কিত এ তথ্যগুলো পোস্ট করা হয়। পোস্টটির শেষে লেখা হয়, ‘পড়া শেষে Done লিখুন’।
পোস্টটিতে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে। পোস্টটি পড়ে ‘Done’ লিখে মন্তব্য করেছেন প্রায় সাড়ে ৩৫০ ফেসবুক ব্যবহারকারী।
বাজপাখি নিয়ে এ তথ্যগুলো কি সঠিক?
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বরে প্রকাশিত স্নোপসের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদনটি ছিল ইগল সম্পর্কিত। স্নোপস ২০০৭ সালের অন্তত মে থেকে ইন্টারনেটে ইগল নিয়ে দাবিকৃত তথ্যগুলো প্রচার হতে দেখেছে। ওই সময় দাবি করা হয়, ইগলের বয়স ৩০–এর ঘরে পৌঁছানোর পর এর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পর্বতের চূড়ায় পাঁচ মাস অবস্থান করে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলে এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত নতুন করে বাঁচে।
স্নোপসের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বাজপাখি সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মিল রয়েছে। তবে কিছু ভিন্নতাও আছে। ইগলের ওই গল্পে পড়ন্ত বয়স দাবি করা হয়েছিল ৩০ এবং নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় ছিল ৫ মাস। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর বাঁচে। কিন্তু ৪০ বছর পার করার পরেই তাদের বাঁচার জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় বাজপাখির সামনে তিনটি পথ খোলা থাকার তথ্যটি অবশ্য স্নোপসের আলোচ্য দাবিতে ছিল না।
প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার র্যাপ্টর সেন্টারের বরাত দিয়ে জানায়, ইগল নিয়ে প্রচলিত এ তথ্যগুলো নিছক একটি পৌরাণিক কাহিনি, যার সঙ্গে ইগলের বাস্তব জীবনের কোনো মিল নেই। একটি ইগলের গড় জীবনকাল প্রায় ৩০ বছর। বন্দিদশায় (চিড়িয়াখানা) একটি ইগল গড় আয়ুর চেয়ে বেশি বাঁচতে পারে, কারণ তখন এটি নিয়মিত এবং পুষ্টিকর খাবার, চিকিৎসা–যত্নআত্তি পায়। ইন্টারনেটে ভাইরাল তথ্যটির মতো করে ইগলের আয়ুষ্কাল কোনোভাবেই বাড়ানো সম্ভব না।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগও ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর তথ্যগুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এখানেও বাজপাখির পরিবর্তে ইগলের গল্প পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাপ্টর প্রোগ্রামের পরিচালক এবং অ্যানিমেল সায়েন্সের অধ্যাপক হেদার হুসন এএফপিকে বলেন, ইগল নিয়ে প্রচারিত দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমি কখনো শুনিনি যে, ইগল নিজের আয়ুষ্কাল ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়াতে ঠোঁট, নখ ভেঙে ফেলে।
এএফপি ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার র্যাপ্টর সেন্টারের সহকারী পরিচালক লরি আরেন্টের বরাত দিয়ে জানায়, সফলভাবে শিকার সংগ্রহ করার জন্য এবং তাদের ধরে খাওয়ার জন্য ইগলের ধারালো নখের প্রয়োজন হয় এবং খাবারকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করার জন্য তাদের তীক্ষ্ণ ঠোঁটের প্রয়োজন হয়। ঠোঁট ও নখ ছাড়া এদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার বন্যপ্রাণী বিষয়ক জীববিজ্ঞানী টড কাৎজনার বলেন, ইগল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দাবিটি ভুল। ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাখির পক্ষে সেটিকে আবার বৃদ্ধি করা সম্ভব না। আর অক্ষত ঠোঁট ছাড়া একটি পাখি সাধারণভাবে খেতে পারে না। ফলে এটির মৃত্যু অনিবার্য।
এএফপি ও স্নোপসের প্রতিবেদনগুলো থেকে স্পষ্ট, দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজপাখির যে গল্পটি প্রচার হচ্ছে, এটি মূলত ইংরেজি থেকে পরিবর্তিত হয়ে আসা গল্প। ইংরেজি ভাষায় ইগলের গল্পটি সামান্য পরিবর্তন করে বাজপাখির গল্প বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাজপাখির ইংরেজি হক (Hawk)। প্রাণী বিষয়ক ওয়েবসাইট এ টু জেড অ্যানিমেলস থেকে জানা যায়, বন্য পরিবেশে বাজপাখির গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ১২ বছর।
পাখি বিষয়ক ওয়েবসাইট বার্ড ফ্যাক্ট থেকে জানা যায়, বন্য পরিবেশে লাল লেজওয়ালা বাজপাখি ১০ থেকে ১৫ বছর বা কিছু বেশি সময় বাঁচতে পারে। যেমন, ১৯৯১ সালে দেখা যাওয়া একটি লাল লেজওয়ালা বাজপাখিকে ২০১১ সালে ২০ বছর ৮ মাস বয়সে আবার দেখা যায়। তবে বন্দী পরিবেশে আরও বেশি বাঁচতে পারে বাজপাখি।
তবে এদের জীবনের সঙ্গেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো বাজপাখি ৭০ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিল— এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায় না।
বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর বাঁচে। কিন্তু মাত্র ৪০ বছর পার করার পরেই বাজপাখিকে বাঁচার জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় পাখিটির শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ, থাবা (পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায়, ফলে শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠোঁট সামনের দিকে ঝুঁকে যায়। ফলে খাবার খুটে বা ছিঁড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়ার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া তিনটিই ধীরে ধীরে মুশকিল হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় একটি বাজপাখির সামনে তিনটা পথ খোলা থাকে। যথা:
১. আত্মহত্যা
২. শকুনের মতো মৃতদেহ খাওয়া
৩. নিজেকে পুনঃস্থাপন করা।
বাজপাখি এই তিন পথের শেষটি বেছে নেয়। আশ্রয় নেয় উঁচু পাহাড়ে, সেখানে বাসা বাঁধে। আর শুরু করে বাঁচার নতুন প্রচেষ্টা। সে প্রথমে তার ঠোঁটটা পাথরে মেরে মেরে ভেঙে ফেলে। একইভাবে নখগুলো ভেঙে ফেলে আর অপেক্ষা করে নতুন নখ ও ঠোঁট গজানোর। নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালকগুলো ছিঁড়ে ফেলে। কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতুন পালকের জন্য। ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতীক্ষার পর সে সব নতুন করে পায়। পায় আবার সেই লম্বা উড়ান আর ক্ষিপ্রতা। এরপর সে আরও ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মতো শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে-এমন কিছু তথ্য যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে লড়ে যাওয়ার শিক্ষা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘সাইকোলজি এবং বিজ্ঞানের অজানা তথ্য’ নামের ৭ লাখ ২৩ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে হৃদয় খান নামের অ্যাকাউন্ট থেকে বাজপাখি সম্পর্কিত এ তথ্যগুলো পোস্ট করা হয়। পোস্টটির শেষে লেখা হয়, ‘পড়া শেষে Done লিখুন’।
পোস্টটিতে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে। পোস্টটি পড়ে ‘Done’ লিখে মন্তব্য করেছেন প্রায় সাড়ে ৩৫০ ফেসবুক ব্যবহারকারী।
বাজপাখি নিয়ে এ তথ্যগুলো কি সঠিক?
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বরে প্রকাশিত স্নোপসের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদনটি ছিল ইগল সম্পর্কিত। স্নোপস ২০০৭ সালের অন্তত মে থেকে ইন্টারনেটে ইগল নিয়ে দাবিকৃত তথ্যগুলো প্রচার হতে দেখেছে। ওই সময় দাবি করা হয়, ইগলের বয়স ৩০–এর ঘরে পৌঁছানোর পর এর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পর্বতের চূড়ায় পাঁচ মাস অবস্থান করে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলে এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত নতুন করে বাঁচে।
স্নোপসের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বাজপাখি সম্পর্কিত তথ্যগুলোর মিল রয়েছে। তবে কিছু ভিন্নতাও আছে। ইগলের ওই গল্পে পড়ন্ত বয়স দাবি করা হয়েছিল ৩০ এবং নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় ছিল ৫ মাস। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, বাজপাখি প্রায় ৭০ বছর বাঁচে। কিন্তু ৪০ বছর পার করার পরেই তাদের বাঁচার জন্য কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় বাজপাখির সামনে তিনটি পথ খোলা থাকার তথ্যটি অবশ্য স্নোপসের আলোচ্য দাবিতে ছিল না।
প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার র্যাপ্টর সেন্টারের বরাত দিয়ে জানায়, ইগল নিয়ে প্রচলিত এ তথ্যগুলো নিছক একটি পৌরাণিক কাহিনি, যার সঙ্গে ইগলের বাস্তব জীবনের কোনো মিল নেই। একটি ইগলের গড় জীবনকাল প্রায় ৩০ বছর। বন্দিদশায় (চিড়িয়াখানা) একটি ইগল গড় আয়ুর চেয়ে বেশি বাঁচতে পারে, কারণ তখন এটি নিয়মিত এবং পুষ্টিকর খাবার, চিকিৎসা–যত্নআত্তি পায়। ইন্টারনেটে ভাইরাল তথ্যটির মতো করে ইগলের আয়ুষ্কাল কোনোভাবেই বাড়ানো সম্ভব না।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগও ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর তথ্যগুলো নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এখানেও বাজপাখির পরিবর্তে ইগলের গল্প পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাপ্টর প্রোগ্রামের পরিচালক এবং অ্যানিমেল সায়েন্সের অধ্যাপক হেদার হুসন এএফপিকে বলেন, ইগল নিয়ে প্রচারিত দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমি কখনো শুনিনি যে, ইগল নিজের আয়ুষ্কাল ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়াতে ঠোঁট, নখ ভেঙে ফেলে।
এএফপি ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার র্যাপ্টর সেন্টারের সহকারী পরিচালক লরি আরেন্টের বরাত দিয়ে জানায়, সফলভাবে শিকার সংগ্রহ করার জন্য এবং তাদের ধরে খাওয়ার জন্য ইগলের ধারালো নখের প্রয়োজন হয় এবং খাবারকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করার জন্য তাদের তীক্ষ্ণ ঠোঁটের প্রয়োজন হয়। ঠোঁট ও নখ ছাড়া এদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার বন্যপ্রাণী বিষয়ক জীববিজ্ঞানী টড কাৎজনার বলেন, ইগল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দাবিটি ভুল। ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাখির পক্ষে সেটিকে আবার বৃদ্ধি করা সম্ভব না। আর অক্ষত ঠোঁট ছাড়া একটি পাখি সাধারণভাবে খেতে পারে না। ফলে এটির মৃত্যু অনিবার্য।
এএফপি ও স্নোপসের প্রতিবেদনগুলো থেকে স্পষ্ট, দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজপাখির যে গল্পটি প্রচার হচ্ছে, এটি মূলত ইংরেজি থেকে পরিবর্তিত হয়ে আসা গল্প। ইংরেজি ভাষায় ইগলের গল্পটি সামান্য পরিবর্তন করে বাজপাখির গল্প বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাজপাখির ইংরেজি হক (Hawk)। প্রাণী বিষয়ক ওয়েবসাইট এ টু জেড অ্যানিমেলস থেকে জানা যায়, বন্য পরিবেশে বাজপাখির গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ১২ বছর।
পাখি বিষয়ক ওয়েবসাইট বার্ড ফ্যাক্ট থেকে জানা যায়, বন্য পরিবেশে লাল লেজওয়ালা বাজপাখি ১০ থেকে ১৫ বছর বা কিছু বেশি সময় বাঁচতে পারে। যেমন, ১৯৯১ সালে দেখা যাওয়া একটি লাল লেজওয়ালা বাজপাখিকে ২০১১ সালে ২০ বছর ৮ মাস বয়সে আবার দেখা যায়। তবে বন্দী পরিবেশে আরও বেশি বাঁচতে পারে বাজপাখি।
তবে এদের জীবনের সঙ্গেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দাবিগুলোর কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো বাজপাখি ৭০ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিল— এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায় না।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলকের সামনে অবস্থানরত ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘রিপাবলিক টিভির ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ জয়ের বন্ধু! গুজব লীগের গোমর ফাঁস’।
২ দিন আগেগতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ নামের একটি কনসার্টে অংশ নেন আতিফ। এই কনসার্টে আতিফ আসলামের সঙ্গে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে দেখা গেছে দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
৪ দিন আগে‘তাপসী তাবাসসুম উর্মি (Tapashee Tabassum Urmi)’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, এটি আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে আসা দর্শকদের মারামারির ভিডিও। এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে...
৫ দিন আগেগতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনূস হটাও আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম’। আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার বার...
৫ দিন আগে