ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুক ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পাঞ্জাবি–টুপি পরিহিত শ্মশ্রুমণ্ডিত এক ব্যক্তির মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বলেছেন, ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবে মুসলমানেরা। ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তিকে মাইকে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারতের চলমান নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে ধারণ করা। ভিডিওতে হিন্দি ভাষায় বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। দিনাজপুরে তাঁর দিনাজপুর ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী পণ্ডিত স্বামী নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ড. সৈয়দ এরশাদ আহমাদ আল বুখারী। ওই মানববন্ধনের একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ওই সময় পোস্ট করেছিলেন তিনি। মানববন্ধনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করায় নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে ‘মুবাহিলা’ চ্যালেঞ্জ এবং কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
‘মুবাহিলা’ বলতে কোনো ব্যক্তিকে তাঁর দাবি প্রমাণের আহ্বান জানানো হয়; তিনি মিথ্যাবাদী হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ বর্ষিত হবে এমন দোয়া বা প্রার্থনা করা হয়।
মানববন্ধনে ওই মাওলানা ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনা থেকে মুক্ত পেতে চাইলে ভারত সরকারকে অনতিবিলম্বে নরসিংহানন্দ সরস্বতীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওয়ের কোথাও তিনি কংগ্রেস বা ভারতের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই খণ্ডিত অংশ কেটে নিয়ে ‘ভারতের চলমান নির্বাচনে কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এলে ঘরে ঘরে গিয়ে হিন্দুদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন মুসলমানেরা।’ এমন গল্প জুড়ে দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দুটি ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলি ও দ্য কুইন্ট।
নরসিংহানন্দ সরস্বতী কে?
বিবিসিতে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংহানন্দ সরস্বতীর পুরো নাম জাতি নরসিংহানন্দ স্বরস্বতী। ওই সময় তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।
তিনি দেশটির উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁদের একজন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমানদের ‘দানব’ এবং তাঁদের ‘নির্মূল’ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ইসলাম মুক্ত’ ভারত প্রতিষ্ঠারও স্বপ্ন দেখেন।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ফলকের সামনে অবস্থানরত ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘রিপাবলিক টিভির ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ জয়ের বন্ধু! গুজব লীগের গোমর ফাঁস’।
২ দিন আগেগতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ নামের একটি কনসার্টে অংশ নেন আতিফ। এই কনসার্টে আতিফ আসলামের সঙ্গে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে দেখা গেছে দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
৪ দিন আগে‘তাপসী তাবাসসুম উর্মি (Tapashee Tabassum Urmi)’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, এটি আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্টে আসা দর্শকদের মারামারির ভিডিও। এটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে...
৫ দিন আগেগতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে ফেসবুক পেজে এক ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনূস হটাও আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম’। আজ শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার বার...
৫ দিন আগে