মাসুদ পারভেজ রুবেল ডিমলা, নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নাউতারা-ধুম নদীকে এখন আর নদী বলা যায় না। এই নদীর বুকে এখন বোরো ধান, ভুট্টার চাষ হয়। কোথাও আবার নদীর ভেতর দিয়ে ছুটছে মাটিভর্তি ট্রাক। অথচ তিন বছর আগে এই নদী খননে ১২ কোটি টাকা খরচ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কোনো কাজে আসেনি সেই খনন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খননের নামে আসলে লোপাট হয়েছে অর্থ।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, নাউতারা নদী উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে বুড়ি তিস্তা নদীতে মিশেছে।
পলি জমায় পানির প্রবাহ ছিল না। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নাউতারা-ধুম নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশ পুনঃখনন করে। ২০২১ সালে শেষের দিকে নদী খনন শেষ হয়। নদীতীরবর্তী এলাকা ছাতনাই ও নাউতারা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খননের বছরেই কেবল নদীতে পানি এসেছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। উজানের ঢলে পাড়সহ নদীর ওপরে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেট ও সেতু দেবে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই, এই নদী খনন করা হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাউতারা নদীর উৎসস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ভাটিতে প্রায় ৫০ মিটার একটি স্লুইসগেট ৬-৮ ফুট দেবে আছে। পুরো নদীতে কোনো প্রবাহ নেই। মৃতপ্রায় নদীর বুকজুড়ে মাইলের পর মাইল ধান ও ভুট্টার চাষ হয়েছে। কোথাও আবার ট্রাক্টরে ভরে নদীর বালু বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণে দেবে যাওয়া স্লুইসগেট-সেতু এখন তাঁদের গলার কাঁটা। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের কৃষিজমিসহ রাস্তাঘাট ও বসতভিটা ভেঙে যাচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে নদীতে কোনো পানি থাকে না।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা বলেন, নদীর উৎসমুখে পানি না থাকায় নাউতারা-ধুম নদীতে প্রবাহ নেই। শুষ্ক মৌসুমে এমন নদীতে পানিপ্রবাহ রাখা কঠিন। তবে নদী খননের পর দুই বছর আগে স্লুইসগেট ধসে পড়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানান তিনি।
এ নিয়ে কথা হয় তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খননে মাটি ব্যবসায়ীদের লাভ হলেও আসল কাজ কিছুই হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে খনন করে নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নাউতারা-ধুম নদীকে এখন আর নদী বলা যায় না। এই নদীর বুকে এখন বোরো ধান, ভুট্টার চাষ হয়। কোথাও আবার নদীর ভেতর দিয়ে ছুটছে মাটিভর্তি ট্রাক। অথচ তিন বছর আগে এই নদী খননে ১২ কোটি টাকা খরচ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কোনো কাজে আসেনি সেই খনন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খননের নামে আসলে লোপাট হয়েছে অর্থ।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, নাউতারা নদী উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে বুড়ি তিস্তা নদীতে মিশেছে।
পলি জমায় পানির প্রবাহ ছিল না। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নাউতারা-ধুম নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশ পুনঃখনন করে। ২০২১ সালে শেষের দিকে নদী খনন শেষ হয়। নদীতীরবর্তী এলাকা ছাতনাই ও নাউতারা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খননের বছরেই কেবল নদীতে পানি এসেছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। উজানের ঢলে পাড়সহ নদীর ওপরে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেট ও সেতু দেবে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই, এই নদী খনন করা হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাউতারা নদীর উৎসস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ভাটিতে প্রায় ৫০ মিটার একটি স্লুইসগেট ৬-৮ ফুট দেবে আছে। পুরো নদীতে কোনো প্রবাহ নেই। মৃতপ্রায় নদীর বুকজুড়ে মাইলের পর মাইল ধান ও ভুট্টার চাষ হয়েছে। কোথাও আবার ট্রাক্টরে ভরে নদীর বালু বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণে দেবে যাওয়া স্লুইসগেট-সেতু এখন তাঁদের গলার কাঁটা। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের কৃষিজমিসহ রাস্তাঘাট ও বসতভিটা ভেঙে যাচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে নদীতে কোনো পানি থাকে না।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা বলেন, নদীর উৎসমুখে পানি না থাকায় নাউতারা-ধুম নদীতে প্রবাহ নেই। শুষ্ক মৌসুমে এমন নদীতে পানিপ্রবাহ রাখা কঠিন। তবে নদী খননের পর দুই বছর আগে স্লুইসগেট ধসে পড়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানান তিনি।
এ নিয়ে কথা হয় তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খননে মাটি ব্যবসায়ীদের লাভ হলেও আসল কাজ কিছুই হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে খনন করে নদীকে মেরে ফেলা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১৫ দিন আগে