অরূপ রায়, সাভার (ঢাকা)
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সাটুরিয়া-কালামপুর সড়ক ধরে কয়েক শ গজ সামনে গেলেই হাতের বাঁয়ে পড়বে ‘এফটুএফ’ ইটভাটা। ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাউখন্ড ও নান্দেশ্বরী গ্রামের সীমানা ঘেঁষে কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা এই ভাটার ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার। এরপরও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ভাটাটি পরিবেশগত ছাড়পত্র আর ইট পোড়ানোর অনুমতি পেয়েছে।
অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯ অনুযায়ী এই ভাটার এমন অনুমতি পাওয়ার কথা না। কারণ, আইন অনুযায়ী কোনো আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, কৃষিজমি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এই আইন অমান্য করে ধামরাইয়ে ২০২৩ সালেই ৫১টি ভাটার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্রের সুপারিশ করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়; যার ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশ ও অবস্থানগত ছাড়পত্র এবং এর আলোকে জেলা প্রশাসন ইট পোড়ানোর অনুমতি দিয়ে থাকে। উপজেলায় এমন ছাড়পত্র পাওয়া মোট ভাটা রয়েছে ১২৮টি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, সাভার ও ধামরাইয়ের অধিকাংশ ইটভাটার অবস্থান নিষিদ্ধ এলাকার ভেতরে। আইন অনুযায়ী এগুলোর ছাড়পত্র পাওয়ার কথা না। এরপরও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়পত্র দিচ্ছেন। আর এ ক্ষেত্রে দোষ এড়াতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে দূরত্ব পরিমাপ করে প্রত্যয়ন নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তা নিষিদ্ধ এলাকার ইটভাটার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্রের সুপারিশ করেছেন। এতে উল্লেখ থাকে, ভাটাটির এক কিলোমিটারের মধ্যে ফসলি জমি ও বাড়িঘর, বন বা কোনো স্থাপনা নেই। সেই মতে ভাটাটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
যেমন এফটুএফ ইটভাটা থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে আলম মিয়ার বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ‘ইটভাটার জন্য আমাগো অনেক সমস্যা অয়। গাছে ফল থাকে না, থাকলেও বড় অয় না। আর যখন ইট পোড়ায়, তখন ধুমায় (ধোঁয়া) অনেক শ্বাসকষ্ট অয়।’
ডাউটিয়া এলাকার আইরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটাকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ ভাটাটির এক কিলোমিটারের মধ্যে একটি মাদ্রাসাসহ কয়েক শ ঘরবাড়ি রয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া এমন অন্তত ২০টি ভাটা পরিদর্শনে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া যায়।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, ‘আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিভিন্ন ইটভাটার দূরত্ব পরিমাপ করে প্রত্যয়ন দিয়ে গেছেন। আমি কোনো ইটভাটাকে এমন প্রত্যয়ন দিইনি।’ যোগাযোগ করা হলে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমি সার্ভেয়ারদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কার্যালয়ের সার্ভেয়ার হজরত আলী বলেন, ‘ইটভাটার অবস্থান নিষিদ্ধ এলাকার ভেতরে থাকার পরও স্যারদের (সহকারী কমিশনার, ভূমি) চাপে পড়ে আমরা মিথ্যা প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সাটুরিয়া-কালামপুর সড়ক ধরে কয়েক শ গজ সামনে গেলেই হাতের বাঁয়ে পড়বে ‘এফটুএফ’ ইটভাটা। ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাউখন্ড ও নান্দেশ্বরী গ্রামের সীমানা ঘেঁষে কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা এই ভাটার ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার। এরপরও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ভাটাটি পরিবেশগত ছাড়পত্র আর ইট পোড়ানোর অনুমতি পেয়েছে।
অথচ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯ অনুযায়ী এই ভাটার এমন অনুমতি পাওয়ার কথা না। কারণ, আইন অনুযায়ী কোনো আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, কৃষিজমি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এই আইন অমান্য করে ধামরাইয়ে ২০২৩ সালেই ৫১টি ভাটার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্রের সুপারিশ করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়; যার ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশ ও অবস্থানগত ছাড়পত্র এবং এর আলোকে জেলা প্রশাসন ইট পোড়ানোর অনুমতি দিয়ে থাকে। উপজেলায় এমন ছাড়পত্র পাওয়া মোট ভাটা রয়েছে ১২৮টি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, সাভার ও ধামরাইয়ের অধিকাংশ ইটভাটার অবস্থান নিষিদ্ধ এলাকার ভেতরে। আইন অনুযায়ী এগুলোর ছাড়পত্র পাওয়ার কথা না। এরপরও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়পত্র দিচ্ছেন। আর এ ক্ষেত্রে দোষ এড়াতে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে দূরত্ব পরিমাপ করে প্রত্যয়ন নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের একশ্রেণির কর্মকর্তা নিষিদ্ধ এলাকার ইটভাটার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্রের সুপারিশ করেছেন। এতে উল্লেখ থাকে, ভাটাটির এক কিলোমিটারের মধ্যে ফসলি জমি ও বাড়িঘর, বন বা কোনো স্থাপনা নেই। সেই মতে ভাটাটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
যেমন এফটুএফ ইটভাটা থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে আলম মিয়ার বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ‘ইটভাটার জন্য আমাগো অনেক সমস্যা অয়। গাছে ফল থাকে না, থাকলেও বড় অয় না। আর যখন ইট পোড়ায়, তখন ধুমায় (ধোঁয়া) অনেক শ্বাসকষ্ট অয়।’
ডাউটিয়া এলাকার আইরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটাকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ ভাটাটির এক কিলোমিটারের মধ্যে একটি মাদ্রাসাসহ কয়েক শ ঘরবাড়ি রয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া এমন অন্তত ২০টি ভাটা পরিদর্শনে গিয়ে একই চিত্র পাওয়া যায়।
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, ‘আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিভিন্ন ইটভাটার দূরত্ব পরিমাপ করে প্রত্যয়ন দিয়ে গেছেন। আমি কোনো ইটভাটাকে এমন প্রত্যয়ন দিইনি।’ যোগাযোগ করা হলে তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমি সার্ভেয়ারদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কার্যালয়ের সার্ভেয়ার হজরত আলী বলেন, ‘ইটভাটার অবস্থান নিষিদ্ধ এলাকার ভেতরে থাকার পরও স্যারদের (সহকারী কমিশনার, ভূমি) চাপে পড়ে আমরা মিথ্যা প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৮ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১২ দিন আগে