নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু পুলিশের করা মামলায় আন্দোলনকারীদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
ওই বিক্ষোভে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল, এরপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে আহত হন কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী, এসআই মোশারফ হোসেন হাবিব ও এসআই মেহেদী হাসান শুভ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকালের (সোমবার) ঘটনায় বিস্ফোরণ ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় আরও অজ্ঞাত নামা ২০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তারেক আজিজ বলেন, আন্দোলনকারীদের ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।
আন্দোলনকারীরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং তাতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন—এজাহারে পুলিশ এমন কথা বললেও সরেজমিনে সোমবার দেখা যায়, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে পুলিশ আহত হন। আজকের পত্রিকার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে যেটি স্পষ্ট দেখা যায়। এ ছাড়া ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর জামালখান এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার কথা ছিল। এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি অবস্থান নেয় এবং সেনাবাহিনী টহল দেয়। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন মোড়ে নতুন করে তল্লাশি চৌকি বসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর মধ্যেই বিকেল ৩টার দিকে চেরাগীর মোড়ে জড়ো হন বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। তখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০০-১৫০ ছাত্রলীগ–যুবলীগকর্মী সেখানে যান।
তাঁরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ৪-৫ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আটকদের ছাড়িয়ে নিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়।
পুলিশ সেসময় লাঠিপেটা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা রাস্তার অন্য পাশে সরে গিয়ে বসে পড়ে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। এগুলো ছোড়ার সময় তিন পুলিশ সদস্য মাথায়, চোখে গুরুতর আঘাত পান।
এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে, বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ ফিরে যাওয়ার সময় আন্দরকিল্লা মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একদল বিক্ষোভকারী। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের আরেক দফা সংঘর্ষ হয় এবং পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম জেলার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি টিকলু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে একটি লাঠিও ছিল না। আমরা ককটেল কখনো চোখেও দেখিনি। পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। তাঁদের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে তারাই আহত হন। এখন তাঁরা বলছেন, আমরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। হাস্যকর!’
পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু পুলিশের করা মামলায় আন্দোলনকারীদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
ওই বিক্ষোভে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল, এরপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে আহত হন কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী, এসআই মোশারফ হোসেন হাবিব ও এসআই মেহেদী হাসান শুভ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকালের (সোমবার) ঘটনায় বিস্ফোরণ ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় আরও অজ্ঞাত নামা ২০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তারেক আজিজ বলেন, আন্দোলনকারীদের ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।
আন্দোলনকারীরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এবং তাতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন—এজাহারে পুলিশ এমন কথা বললেও সরেজমিনে সোমবার দেখা যায়, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে পুলিশ আহত হন। আজকের পত্রিকার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে যেটি স্পষ্ট দেখা যায়। এ ছাড়া ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে তিন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর জামালখান এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার কথা ছিল। এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি অবস্থান নেয় এবং সেনাবাহিনী টহল দেয়। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন মোড়ে নতুন করে তল্লাশি চৌকি বসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর মধ্যেই বিকেল ৩টার দিকে চেরাগীর মোড়ে জড়ো হন বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী। তখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০০-১৫০ ছাত্রলীগ–যুবলীগকর্মী সেখানে যান।
তাঁরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা ৪-৫ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আটকদের ছাড়িয়ে নিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়।
পুলিশ সেসময় লাঠিপেটা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা রাস্তার অন্য পাশে সরে গিয়ে বসে পড়ে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। এগুলো ছোড়ার সময় তিন পুলিশ সদস্য মাথায়, চোখে গুরুতর আঘাত পান।
এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে, বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ ফিরে যাওয়ার সময় আন্দরকিল্লা মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একদল বিক্ষোভকারী। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের আরেক দফা সংঘর্ষ হয় এবং পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম জেলার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি টিকলু কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে একটি লাঠিও ছিল না। আমরা ককটেল কখনো চোখেও দেখিনি। পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। তাঁদের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে তারাই আহত হন। এখন তাঁরা বলছেন, আমরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। হাস্যকর!’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪ দিন আগেরাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২৫ দিন আগে