মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।
চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তাঁর বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি এক জেলা প্রশাসক। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয়েছিল ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।
৫ আগস্টের পর দীপু মনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।
দীপু মনির সাম্রাজ্যে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে দমন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিগত দেড় দশকে দীপু মনি ও তাঁর লোকদের হাতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি ও ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের (আওয়ামী লীগের) লোকজনও রক্ষা পাননি। জুলুম ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের জবাব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিরাপত্তাসহ এসব কারণে তাঁকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীপু মনির পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি। রাজধানীতে রাজনীতি করা দীপু মনি ২০০৮ সালের আগে চাঁদপুর সদরে এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘন ঘন বিদেশ সফরের কারণে সমালোচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব না পেলেও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তবে ২০১৮ সালে আবার মন্ত্রিত্ব পান, সেবার পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ফলে ক্ষমতার দাপটে হেরফের হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দীপু মনিকে সহযোগিতা করেন ওসমান গণি পাটওয়ারী। তবে ডা. টিপুর কাছে বেশি দিন টিকতে পারেননি ওসমান। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন ডা. টিপু। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের কিছু লোকসহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ হিসেবে পরিচিত লোকজন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান। যিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এই চক্রে আরও ছিলেন সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাইদুল ইসলাম বাবু ওরফে বিহারী বাবু। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বদলি-বাণিজ্যসহ শিক্ষকদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সেলিম খান পিটুনিতে ছেলেসহ নিহত হয়েছেন। বাকি অনুসারীরা আত্মগোপনে।
স্থানীয়রা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় চাঁদপুরের জন্য বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমঝোতা না হওয়ায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষাসহ মেঘনা নদীর বাঁধ প্রকল্প, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে আছে ডা. টিপুর স্বার্থ হাসিল না হওয়া। এ ছাড়া তদবির, বদলি, ঘুষ-বাণিজ্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ নেওয়ার দায়িত্বও ছিল টিপুর।
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: স্থানীয়রা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ‘টাকার মেশিন’ ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিহত সেলিম খান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। তাঁকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচার পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের বালুমহাল থেকে কয়েক শ কোটি টাকা ভাগ পেয়েছেন দীপু মনি ও তাঁর ভাই টিপু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কোষাগারে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকার সমালোচনা করে একই মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনিও পদচ্যুত হন।
এ প্রসঙ্গে ড. মনজুর আহমেদ পরে চাঁদপুরে এসে বলেছিলেন, ‘মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তাদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে আমি মন্তব্য করেছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি আমার পদ হারাই।’
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ: চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এর কার্যক্রম চলছে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার শহরতলির ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় জমি পরিদর্শন করা হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ দীপু মনির লোকজনের লোপাটের নীলনকশা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কায় প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নিজগাছতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম পাঠান বলেন, নির্বাচনের আগে দীপু মনি বিভিন্ন ওয়াদা করতেন; কিন্তু সেগুলো রাখেননি। মেডিকেল কলেজ হয়নি। সরকার অধিগ্রহণ করবে এটা ভেবে ৩০ একর জমির মালিক কয়েক বছর জমিগুলোতে আবাদ করেননি। দীপু মনির লোকজন লুটপাট ও লাভের আশায় উন্নয়নকাজও বাধাগ্রস্ত করেছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনের পরও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দীপু মনির ঘনিষ্ঠদের অধিগ্রহণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানোর নীলনকশার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ডা. টিপু, সেলিম খানসহ দীপু মনির ঘনিষ্ঠরা প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েক গুণ বেশি দেখিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি পকেটে ভরতে কারসাজি করেছেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়; যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশ্য দীপু মনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শহরের খলিশাডুলির একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলছে।
জানা গেছে, ওই কারণে শহর রক্ষায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও ভেস্তে যায়।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী উপকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকার কালু খাঁন, মো. কাজল গাজী ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন। তাঁরা এখনো সম্পত্তি বুঝে পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দীপু মনির ভাইয়ের টিপু নগর: অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনির ক্ষমতার দাপটে তাঁর ভাই ডা. টিপু হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচরে ৪৮ একর খাসজমি দখল করে গড়ে তুলেছেন ‘টিপু নগর’। সেখানে আছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজিবাগান। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীপু মনি ওই জেলা প্রশাসককে নেত্রকোনায় বদলি করান।
আরও যত অভিযোগ: দীপু মনির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ রয়েছে, তদবির-বাণিজ্যের জন্য ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই তদবির-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। কেন্দ্রে থাকতেন ডা. টিপু। তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলেই ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াতের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেরও নিয়ন্ত্রণে ছিলেন টিপু।
আওয়ামী লীগে বিভক্তিতে দীপু মনি: চাঁদপুরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, নিজের স্বার্থে দীপু মনি জেলা আওয়ামী লীগকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশকে নিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই ছিলেন তাঁর চক্ষুশূল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে একজনের কারণে জেলা নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল। এটা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অতীতেও চাননি, এখনো চান না।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।
চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তাঁর বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি এক জেলা প্রশাসক। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয়েছিল ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।
৫ আগস্টের পর দীপু মনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।
দীপু মনির সাম্রাজ্যে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে দমন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিগত দেড় দশকে দীপু মনি ও তাঁর লোকদের হাতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি ও ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের (আওয়ামী লীগের) লোকজনও রক্ষা পাননি। জুলুম ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের জবাব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিরাপত্তাসহ এসব কারণে তাঁকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীপু মনির পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি। রাজধানীতে রাজনীতি করা দীপু মনি ২০০৮ সালের আগে চাঁদপুর সদরে এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘন ঘন বিদেশ সফরের কারণে সমালোচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব না পেলেও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তবে ২০১৮ সালে আবার মন্ত্রিত্ব পান, সেবার পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ফলে ক্ষমতার দাপটে হেরফের হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দীপু মনিকে সহযোগিতা করেন ওসমান গণি পাটওয়ারী। তবে ডা. টিপুর কাছে বেশি দিন টিকতে পারেননি ওসমান। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন ডা. টিপু। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের কিছু লোকসহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ হিসেবে পরিচিত লোকজন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান। যিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এই চক্রে আরও ছিলেন সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাইদুল ইসলাম বাবু ওরফে বিহারী বাবু। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বদলি-বাণিজ্যসহ শিক্ষকদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সেলিম খান পিটুনিতে ছেলেসহ নিহত হয়েছেন। বাকি অনুসারীরা আত্মগোপনে।
স্থানীয়রা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় চাঁদপুরের জন্য বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমঝোতা না হওয়ায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষাসহ মেঘনা নদীর বাঁধ প্রকল্প, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে আছে ডা. টিপুর স্বার্থ হাসিল না হওয়া। এ ছাড়া তদবির, বদলি, ঘুষ-বাণিজ্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ নেওয়ার দায়িত্বও ছিল টিপুর।
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: স্থানীয়রা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ‘টাকার মেশিন’ ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিহত সেলিম খান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। তাঁকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচার পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের বালুমহাল থেকে কয়েক শ কোটি টাকা ভাগ পেয়েছেন দীপু মনি ও তাঁর ভাই টিপু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কোষাগারে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকার সমালোচনা করে একই মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনিও পদচ্যুত হন।
এ প্রসঙ্গে ড. মনজুর আহমেদ পরে চাঁদপুরে এসে বলেছিলেন, ‘মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তাদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে আমি মন্তব্য করেছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি আমার পদ হারাই।’
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ: চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এর কার্যক্রম চলছে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার শহরতলির ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় জমি পরিদর্শন করা হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ দীপু মনির লোকজনের লোপাটের নীলনকশা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কায় প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নিজগাছতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম পাঠান বলেন, নির্বাচনের আগে দীপু মনি বিভিন্ন ওয়াদা করতেন; কিন্তু সেগুলো রাখেননি। মেডিকেল কলেজ হয়নি। সরকার অধিগ্রহণ করবে এটা ভেবে ৩০ একর জমির মালিক কয়েক বছর জমিগুলোতে আবাদ করেননি। দীপু মনির লোকজন লুটপাট ও লাভের আশায় উন্নয়নকাজও বাধাগ্রস্ত করেছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনের পরও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দীপু মনির ঘনিষ্ঠদের অধিগ্রহণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানোর নীলনকশার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ডা. টিপু, সেলিম খানসহ দীপু মনির ঘনিষ্ঠরা প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েক গুণ বেশি দেখিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি পকেটে ভরতে কারসাজি করেছেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়; যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশ্য দীপু মনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শহরের খলিশাডুলির একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলছে।
জানা গেছে, ওই কারণে শহর রক্ষায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও ভেস্তে যায়।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী উপকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকার কালু খাঁন, মো. কাজল গাজী ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন। তাঁরা এখনো সম্পত্তি বুঝে পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দীপু মনির ভাইয়ের টিপু নগর: অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনির ক্ষমতার দাপটে তাঁর ভাই ডা. টিপু হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচরে ৪৮ একর খাসজমি দখল করে গড়ে তুলেছেন ‘টিপু নগর’। সেখানে আছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজিবাগান। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীপু মনি ওই জেলা প্রশাসককে নেত্রকোনায় বদলি করান।
আরও যত অভিযোগ: দীপু মনির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ রয়েছে, তদবির-বাণিজ্যের জন্য ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই তদবির-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। কেন্দ্রে থাকতেন ডা. টিপু। তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলেই ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াতের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেরও নিয়ন্ত্রণে ছিলেন টিপু।
আওয়ামী লীগে বিভক্তিতে দীপু মনি: চাঁদপুরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, নিজের স্বার্থে দীপু মনি জেলা আওয়ামী লীগকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশকে নিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই ছিলেন তাঁর চক্ষুশূল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে একজনের কারণে জেলা নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল। এটা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অতীতেও চাননি, এখনো চান না।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
১৫ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এ ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস হয়ে গেলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। উল্টো নাফিউলের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন নাফিউলের বাবা-মা।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানান নাফিউলের বাবা রেজাউল করিম ও মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিমা আক্তার।
নাফিউল করিম সোহান পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের রেজাউল করিম-নাসিমা আক্তার দম্পতির সন্তান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির সামনে জমি কেনার পর থেকে তাঁদের বিরোধ দেখা দেয় নাফিউলের চাচা ইব্রাহিম হোসেন-নজরুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাইদের সঙ্গে। এর জেরে গত ২৪ এপ্রিল ওই জমির মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া বাধান তাঁরা। সেদিন তাঁরা প্রকাশ্যে সবার সামনে নাফিউলকে হত্যার হুমকি দেন। গত ৫ জুন ছুটিতে বাড়িতে যান নাফিউল। ৮ জুন রাতে খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরদিন ৯ জুন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের মরদেহ দেখতে পান তাঁর বাবা-মা।
নাফিউলের বাবা-মায়ের দাবি, আগের বিরোধের জেরে ৮ জুন রাতের কোনো এক সময় নাফিউলকে তাঁর চাচা ও চাচাতা ভাইয়েরা মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, নাফিউলকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁরা লাশ ঢাকার গণ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে নিতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা নিজেরাই পরিবারের অনুমতি ছাড়া লাশ গোসল করান এবং তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন। তাঁরা নাফিউলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কারও কোনো কথা শোনেননি।
হুমকি আর চাপ উপেক্ষা করে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। নাফিউলের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পর ৪ আগস্ট নাফিউলের মা নাসিমা আক্তার বাদী হয়ে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাফিউলের দুই চাচা ইব্রাহিম হোসেন, নজরুল ইসলাম, চাচাতো ভাইসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নাফিউলের বাবা-মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলার পরও অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও দেখছে না তারা। উল্টো নানাভাবে নাফিউলের বাবা-মাকে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে অবিলম্বে ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার দাবি করেন নাফিউলের বাবা-মা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, ‘প্রথমে নাফিউলের স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাঁরা দাফন করেছিলেন। ওই সময় থানায় কোনো জিডি বা মামলা করেননি তাঁরা। সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার পঞ্চম আদেশে থানায় মামলা করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আমরা ৫ ডিসেম্বর মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ আসামি ধরছে না—এ কথা ঠিক নয়। কারণ, থানায় তো তাঁরা মামলা করেননি। তদন্তের জন্য লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নাফিউলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তার বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন নিজেরাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে ঘুরে এলে এলাকার মানুষজনই দাফন-কাফন করেছে। এখন হঠাৎ করে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা। ছেলেটা কীভাবে মারা গেছে, আমরা নিজেরাও জানি না। এর আগে পুলিশ এসে একবার সব জেনেশুনে গেছে। আদালতে মামলা করেছে বলে শুনেছি।’

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
১৫ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজরে মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এলে গোরস্তানে আগুন দেখতে পান। পড়ে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘটনা বলতে থাকলে স্থানীয়রা এসে নেভান। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন দিয়েছে।
তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ওই কবরস্থানের কেয়ারটেকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন কবরস্থানে আগুন দেখতে পাই। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে স্থানীয় লোকজন ও হেফজখানার ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। এটা কেউ ধরিয়ে দিয়েছে। এখানে কারেন্ট নেই বা পথের পাশে না যে ভুলবশত হবে। এটা পরিকল্পিত ও নাশকতামূলক।’
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব.) শিক্ষক মো. সমশের আলী বলেন, ‘এটা স্বাধীনতাবিরোধীদের কাজ। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে এটা তাঁরা করেছে। আমরা এমন ঘটনার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।’
তারাপুর ঈদগাহ ও গোরস্তানের সেক্রেটারি নুরুল আলম বলেন, ‘এটা সত্যিই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় জিডি করব। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গণি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।’
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাতুল হক বলেন, পুড়ে যাওয়া সীমানা বেড়া দ্রুত সংস্কার করা হবে। সেই সঙ্গে যারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজরে মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে এলে গোরস্তানে আগুন দেখতে পান। পড়ে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘটনা বলতে থাকলে স্থানীয়রা এসে নেভান। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানে আগুন দিয়েছে।
তারাপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ওই কবরস্থানের কেয়ারটেকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন কবরস্থানে আগুন দেখতে পাই। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে স্থানীয় লোকজন ও হেফজখানার ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। এটা কেউ ধরিয়ে দিয়েছে। এখানে কারেন্ট নেই বা পথের পাশে না যে ভুলবশত হবে। এটা পরিকল্পিত ও নাশকতামূলক।’
বাহাদুরপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব.) শিক্ষক মো. সমশের আলী বলেন, ‘এটা স্বাধীনতাবিরোধীদের কাজ। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে এটা তাঁরা করেছে। আমরা এমন ঘটনার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।’
তারাপুর ঈদগাহ ও গোরস্তানের সেক্রেটারি নুরুল আলম বলেন, ‘এটা সত্যিই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় জিডি করব। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গণি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।’
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাতুল হক বলেন, পুড়ে যাওয়া সীমানা বেড়া দ্রুত সংস্কার করা হবে। সেই সঙ্গে যারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
১০ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
১৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
আদেশে আবুল কালাম আজাদকে বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে মতিহার থানায়, দামকুড়া থানার রবিউল ইসলামকে বোয়ালিয়া মডেল থানায়, চন্দ্রিমা থানার মো. আরজুনকে বেলপুকুর থানায়, মতিহার থানার আব্দুল মালেককে রাজপাড়া থানায়, কাটাখালী থানার আব্দুল মতিনকে পবা থানায়, বেলপুকুর থানার সুমন কাদেরীকে কাটাখালী থানায়, শাহ মখদুম থানার মাসুমা মুস্তারিকে এয়ারপোর্ট থানায়, এয়ারপোর্ট থানার ফারুক হোসেনকে শাহ মখদুম থানায়, পবা থানার ফরহাদ আলীকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার আজিজুল বারী ইবনে জলিলকে দামকুড়া থানায়, কর্ণহার থানার মনিরুল ইসলামকে চন্দ্রিমা থানায় ও রাজপাড়া থানার হাবিবুর রহমানকে কর্ণহার থানায় বদলি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, পদায়ন ও রদবদলের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার অংশ হিসেবে এ রদবদল করা হয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
আদেশে আবুল কালাম আজাদকে বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে মতিহার থানায়, দামকুড়া থানার রবিউল ইসলামকে বোয়ালিয়া মডেল থানায়, চন্দ্রিমা থানার মো. আরজুনকে বেলপুকুর থানায়, মতিহার থানার আব্দুল মালেককে রাজপাড়া থানায়, কাটাখালী থানার আব্দুল মতিনকে পবা থানায়, বেলপুকুর থানার সুমন কাদেরীকে কাটাখালী থানায়, শাহ মখদুম থানার মাসুমা মুস্তারিকে এয়ারপোর্ট থানায়, এয়ারপোর্ট থানার ফারুক হোসেনকে শাহ মখদুম থানায়, পবা থানার ফরহাদ আলীকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায়, কাশিয়াডাঙ্গা থানার আজিজুল বারী ইবনে জলিলকে দামকুড়া থানায়, কর্ণহার থানার মনিরুল ইসলামকে চন্দ্রিমা থানায় ও রাজপাড়া থানার হাবিবুর রহমানকে কর্ণহার থানায় বদলি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, পদায়ন ও রদবদলের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার অংশ হিসেবে এ রদবদল করা হয়েছে।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
১৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে পশ্চিম পাশে একটি লেগুনা থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শরীফা বেগমের খোঁপার ভেতরের থেকে দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁকে আটক করা হয়। ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শরীফা নামের এক নারীর চুলের খোঁপায় ইয়াবা গুঁজে আশুগঞ্জ থেকে লেগুনা দিয়ে ভৈরবে আসছেন। পরে আমরা সেতুর ভৈরব প্রান্তে লেগুনা থেকে ওই নারীকে নামিয়ে তল্লাশি করে তাঁর খোঁপার মধ্যে লুকানো দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় চুলের খোঁপায় লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের সময় শরীফা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁর খোঁপার মধ্যে দুই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আজ রোববার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে পশ্চিম পাশে একটি লেগুনা থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শরীফা বেগমের খোঁপার ভেতরের থেকে দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবং তাঁকে আটক করা হয়। ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, শরীফা নামের এক নারীর চুলের খোঁপায় ইয়াবা গুঁজে আশুগঞ্জ থেকে লেগুনা দিয়ে ভৈরবে আসছেন। পরে আমরা সেতুর ভৈরব প্রান্তে লেগুনা থেকে ওই নারীকে নামিয়ে তল্লাশি করে তাঁর খোঁপার মধ্যে লুকানো দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করি। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাফিউল করিম সোহান (২৩)। গত ৯ জুন তাঁকে মৃত অবস্থায় ঘরে পান তাঁর বাবা-মা। নাফিউলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁদের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন দুই চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
৫ মিনিট আগে
রাজবাড়ীর পাংশায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের জন্য নির্ধারিত স্থানের সীমানা বেড়ায় রাতের আঁধারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ১২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়।
১০ মিনিট আগে