লিওনেল মেসি নিজেই যেন জাদুকর। যার জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে যায় দৃশ্যপট। অন্তত ইতিহাস তো এ কথাই বলে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড যেখানে গেছেন, সেখানেই ফুটেছে সাফল্যের ফুল। সর্বশেষ মেসির সেই জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ধরা দিল ইন্টার মায়ামির শোকেসে।
পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। তৃতীয় মৌসুমে এসে ফ্লোরিডার ক্লাবটিকে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) শিরোপা জেতালেন তিনি। ফাইনালে ভ্যাংকুভারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে হ্যাভিয়ের মাশচেরানোর দল।
২০১৮ সালে মায়ামির প্রতিষ্ঠা হয়। মেসি আসার আগে প্রতি মৌসুমেই লিগ টেবিলের তলানিতে থেকেছে তারা। মেসি আসার পর গত ৩ মৌসুমে সমান শিরোপা ঘরে তুলল ক্লাবটি। এর আগে ২০২৩ সালে লিগস কাপের শিরোপা জিতেছিল মায়ামি। গত মৌসুমে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে সাপোর্টার শিল্ডস ঘরে তোলে। এমএলএসের ফাইনালে ভ্যাংকুভারকে হারিয়ে সবচেয়ে আরাধ্য শিরোপার অপেক্ষা ফুরাল মায়ামির।
মায়ামিকে এমএলএস কাপের শিরোপা জিতিয়ে অসংখ্য অর্জনের ভিড়ে আরও একটি সাফল্যের দেখা পেলেন মেসি। এটা ক্যারিয়ারে তারকা ফুটবলারের ৪৭তম শিরোপা। সিনিয়র ফুটবলে যা ৪৪তম।
মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মেসি। মায়ামির ফাইনাল জয়েও রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জালের দেখা না পেলেও সতীর্থের দুটি গোলে সহায়তা করেছেন তিনি। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে প্লে-অফে রেকর্ড ১৫ গোলে অবদান রাখলেন মেসি। এমএলএস কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
চেজে স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় মায়ামি। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান ভ্যাংকুভারের ডিফেন্ডার ওকাম্পো। প্রথমার্ধের বাকি সময় দাপট দেখালেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভ্যাংকুভার। কিছু সুযোগ তৈরি করে মায়ামিও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে।
বিরতি থেকে ফেরার পর লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। ৬০ মিনিটে তাদের জালে বল পাঠান ভ্যাংকুভারের আলী আহমেদ। ১১ মিনিটের মাথায় ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় মায়ামি। মেসির পাস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রিগো ডি পল। যোগ করা সময়ে তাদেও আলেন্দেকে দিয়ে গোল করিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মেসি।