হোম > বিনোদন > হলিউড

ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে সমালোচনার মুখে নেটফ্লিক্স

বিনোদন ডেস্ক

হলিউডে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় নেটফ্লিক্স এবং ওয়ার্নার ব্রস। সবচেয়ে বিতর্কের বিষয়ও। হলিউডের সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় স্টুডিও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হতে চলেছে নেটফ্লিক্স। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে নেটফ্লিক্স। এর মাধ্যমে এইচবিও এবং এইচবিও ম্যাক্সের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে যাবে। স্ট্রিমিংয়ের দুনিয়ায় এখনই নেটফ্লিক্স সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে হলিউডে ক্ষমতার ভারসাম্য আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে এ প্ল্যাটফর্মের দিকে।

ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বছর থেকে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে এই সংস্থা। ওয়ার্নারের একটি ভাগ অধিগ্রহণ করবে নেটফ্লিক্স। অন্য ভাগটি অর্থাৎ ডিসকভারি গ্লোবালের অধীনে থাকবে সিএনএনসহ অন্যান্য চ্যানেল।

বিনোদন দুনিয়ায় এটি নিঃসন্দেহে বড় হাতবদলের ঘটনা। এতে সিনেমা ও টেলিভিশনের জগতে যে বিরাট পরিবর্তন আসবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে বিষয়টিকে উদ্বেগের চোখেই দেখছেন হলিউডের নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক ও হলমালিকেরা। রাজনীতির অঙ্গনেও জোর চর্চা চলছে।

হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের উদ্বেগ

এই চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই গত সপ্তাহে নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘এটি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে’। সেই উদ্বেগ ধ্বনিত হলো হলমালিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের প্রতিক্রিয়ায়। এমনিতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাড়বাড়ন্তে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হলের ব্যবসা। তার ওপর ওয়ার্নার ব্রসের মতো বড় স্টুডিও নেটফ্লিক্সের কবজায় চলে গেলে তা মোটেই ভালো হবে না সিনেমা হলের জন্য।

হলের মালিকেরা এই চুক্তিকে তাঁদের ব্যবসার ওপর বড় আঘাত হিসেবেই দেখছেন। ফেডারেল সরকারের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন, যেন এই চুক্তি বাতিল করা হয়। ওয়ার্নার ব্রস থেকে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৪টি সিনেমা মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে। নেটফ্লিক্স এই প্রতিষ্ঠান কিনে নিলে তখন ওয়ার্নার ব্রসের সিনেমাগুলো সরাসরি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে, এতে প্রেক্ষাগৃহে ভালো সিনেমার সংকট দেখা দেবে।

হলিউডের প্রযোজকদের সংগঠন প্রোডিউসারস গিল্ড অব আমেরিকা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রযোজকেরা এই চুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্টুডিওগুলো শুধু কনটেন্টের লাইব্রেরি নয়। বরং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ধরন ও সংস্কৃতি রয়েছে।’ অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন এসএজি-আফট্রার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনোদনশিল্পের ভবিষ্যৎ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে অনেক গুরুতর প্রশ্ন উঠবে। বিশেষ করে যাদের ক্যারিয়ার এর ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য হুমকি। ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকাও বিবৃতি প্রকাশ করে উদ্বেগ জানিয়েছে। শিগগিরই নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন নির্মাতারা।

চুক্তি বাতিল চান লেখকেরা

নেটফ্লিক্স দাবি করেছে, এই চুক্তি শ্রমিকবান্ধব হবে। তবে ভিন্নমত হলিউডের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের। নেটফ্লিক্স-ওয়ার্নার ব্রসের একীভূতকরণের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা। ২০ হাজারের বেশি লেখক-চিত্রনাট্যকার রয়েছেন এই সংগঠনে। তাঁদের দাবি, যেকোনো মূল্যে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি এখন একে একে তার প্রতিযোগীদের গিলে ফেলছে। এর ফলে কাজের সুযোগ কমে যাবে, মজুরি কমবে, বিনোদনকর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ হবে, প্রতিযোগিতা কমবে, কনটেন্টের মান ও বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্রাহকেরাও উচ্চ মূল্যে সাবস্ক্রিপশন কিনতে বাধ্য হবে।

উত্তাপ রাজনীতির অঙ্গনে

বিষয়টি নিয়ে শুধু বিনোদন অঙ্গনে নয়, যথেষ্ট উত্তাপ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনেও। ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এই চুক্তিকে ‘দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনিসহ অনেক রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতার উদ্বেগ, ওয়ার্নার ব্রস কবজায় চলে গেলে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে নেটফ্লিক্স। বাজারে তাদের একচেটিয়া প্রভাব তৈরি হবে।

সব মিলিয়ে নেটফ্লিক্সের এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন মিলবে কি না। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যেই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রকেরা এখনো কোনো মন্তব্য না করলেও সিএনবিসিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটিকে ‘গভীর সন্দেহের চোখে’ দেখছেন। ফলে এই চুক্তি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থাকছে। নেটফ্লিক্সের সহপ্রধান নির্বাহী সারান্ডোস অবশ্য বিশ্বাস করেন, তাঁরা অনুমোদন পাবেন।

কনা বললেন, মেহেদিরাঙা ছবির সঙ্গে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই

রাবেয়া খাতুনের সখিনাকে খুঁজছেন আবুল হায়াত

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক আফসানা মিমি

নেটফ্লিক্সের দখলে যাচ্ছে হলিউড সাম্রাজ্য, বাদ সাধতে পারে রাজনৈতিক চক্রান্ত

রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমায় বাঁধন, শিমু ও সুনেরাহ

এবার অপু বিশ্বাসের নায়ক সজল

হঠাৎ অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান

সৌদিতে সিনেমার উৎসবে ঐশ্বরিয়া

৭২ বিলিয়ন ডলারে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সিনেমা ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনছে নেটফ্লিক্স

অবশেষে জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরির প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল, ইন্টারনেটে তোলপাড়