রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা বাস বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত বাস বন্ধ ছিল। তবে শুধু একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হঠাৎ করে একটি ছাড়া সব বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থা করে ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়েছে।
শ্রমিকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটে স্টাফদের বেতন খুবই কম। ন্যাশনাল ট্রাভেলস প্রতিটি ট্রিপে চালককে দিচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫০০ টাকা এবং চালকের সহকারীকে ৪০০ টাকা। অন্যদিকে দেশ ট্রাভেলস চালককে দিচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু শ্রমিকেরা দাবি তুলেছেন, প্রতি ট্রিপে তাঁদের বেতন কমপক্ষে ২ হাজার টাকা হতে হবে।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমাদের বেতন একই আছে। আগেও আন্দোলন করেছিলাম। গত ২৩ আগস্ট ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস বন্ধ রেখেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই এবার সব পরিবহনের শ্রমিকেরা একাত্মতা প্রকাশ করে (একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া) সব বাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকেরা ন্যায্য দাবির আন্দোলন করছেন। মালিকদের সঙ্গে বসা হয়েছিল। তাঁরা মাত্র ১০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিকেরা তা মানেননি। বিষয়টি নিয়ে আবারও মালিকদের সঙ্গে বসব। তাঁদের দাবি যেন বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে জোর দেব।’